সেনা বাহিনীর ধারণা, কাশ্মীরে নাইট ভিশন ডিভাইস’ লাগানো স্নাইপার রাইফেল ব্যবহার করছে জঙ্গিরা। ছবি: সংগৃহীত।
অরুণাচলের বমডিলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনতার আন্দোলনের পিছনে তৃতীয় শক্তির উস্কানি রয়েছে বলে সন্দেহ সেনাকর্তাদের। বিষয়টি চিন্তার ও উদ্বেগের বলে মনে করেন তাঁরা। যেহেতু রাজ্যের নাম অরুণাচল প্রদেশ সেই কারণেই এই সন্দেহে চিন্তিত দিল্লিও। ইতিমধ্যেই বিরোধ মেটাতে হস্তক্ষেপ করেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী নির্মলা সীতারামন, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী তথা অরুণাচলের সাংসদ কিরেন রিজিজু ও মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডু।
কয়েক দিন আগে অরুণাচল স্কাউটের দুই মত্ত জওয়ানকে অভব্য আচরণের জন্য ধরে পুলিশ মারধর করে। পরে জানা যায় তারা সেনা জওয়ান। ছেড়ে দেওয়া হয় তাদের। তারা দলবল নিয়ে ফিরে বমডিলা থানায় হামলা চালায়। দু’পক্ষের সংঘর্ষ হয়। এর পর থেকে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর মধ্যে চলছে পারস্পরিক দোষারোপ ও চাপানউতোর। পুলিশের সমর্থনে বমডিলার বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন রাস্তায় নেমেছে। আজও মহিলাদের একটি সংগঠন মিছিল বের করে। তাঁদের অভিযোগ, সেনাবাহিনী মহিলাদের সঙ্গে, এমনকি মহিলা জেলাশাসক সোনাল স্বরূপের সঙ্গেও খারাপ ব্যবহার করেছে। তাদের ক্ষমা চাইতে হবে। সেনা মুখপাত্র পাল্টা-অভিযোগ করেছেন, জেলাশাসকও অশান্তিতে ইন্ধন জোগাচ্ছেন। জেলাশাসক বিষয়টি নিয়ে কোনও মন্তব্য করেননি।
এই পরিস্থিতিতে সীতারামন ও রিজিজু বিভিন্ন নাগরিক সংগঠন ও পুলিশ কর্তাদের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেন। সংগঠনগুলির দাবি, অরুণাচল স্কাউটকে বমডিলা থেকে সরিয়ে নিতে হবে। তারা এ নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর দফতরেও পাঁচ দফা দাবি-সহ স্মারকলিপি পাঠায়। রিজিজু জানান, ঘটনাটিকে সেনা বনাম পুলিশের লড়াইয়ের চেহারা না দেওয়ার জন্য জনতা ও প্রশাসনকে অনুরোধ করা হয়েছে। আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলা উচিত। ওই ঘটনায় সেনা ও জনতার বন্ধুত্বের ঐতিহ্য নষ্ট হওয়া উচিত নয়। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খান্ডুও সেনা-পুলিশ-জনতার সুসম্পর্কের উপরে জোর দিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজিকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।
এ দিকে আজ বমডিলার অন্য তিনটি সংগঠন সেনাবাহিনীর পক্ষ নিয়ে প্রতিরক্ষা মন্ত্রীকে স্মারকলিপি পাঠায়। দাবি করা হয়, মিথ্যে অভিযোগ করে সেনাবাহিনীর ভাবমূর্তি খারাপ করার চেষ্টা চলছে।