Meerut Incident

টোল প্লাজ়ায় বাধা, জওয়ানকে খুঁটিতে বেঁধে মারধরের অভিযোগ! মেরঠে গ্রেফতার চার

আক্রান্ত জওয়ানের পরিবার সরুরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৮ অগস্ট ২০২৫ ১৫:৫২
Share:

জওয়ানকে বেঁধে মারধরের অভিযোগ টোল প্লাজ়া কর্মীদের বিরুদ্ধে। ছবি: সিসিটিভি ফুটেজ থেকে নেওয়া।

টোল প্লাজ়ার কর্মীদের হাতে হেনস্থার শিকার হলেন এক জওয়ান। অভিযোগ, তাঁকে খুঁটিতে বেঁধে মারধর করা হয়। ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আসার পরই শোরগোল শুরু হয় সোশ্যাল মিডিয়ায়। হস্তক্ষেপ করে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত মারধরের ঘটনার সঙ্গে জড়িত চার জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মেরঠে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, ২৪ বছর বয়সি কপিল ছুটিতে মেরঠে বাড়ি এসেছিলেন। ছুটি কাটিয়ে রবিবার রাতে জম্মু-কাশ্মীরের বিমানে ওঠার কথা ছিল তাঁর। বিমানবন্দর যাওয়ার পথে ভুনি টোল প্লাজ়া পার হতে হত তাঁকে। ভাইয়ের গাড়িতে বিমানবন্দর যাওয়ার পথে ওই টোল প্লাজ়ায় আটকে পড়েন কপিল। লম্বা লাইন থাকায় বিমান ধরতে দেরি হচ্ছিল তাঁর। বিমান ধরতে না-পারলে সমস্যা হত, সেই কারণে টোল প্লাজ়ার কর্মীদের কপিল অনুরোধ করন, যাতে তাঁর গাড়ি আগে ছেড়ে দেওয়া হয়।

অভিযোগ, কপিলের অনুরোধ মানতে চাননি টোল প্লাজ়ার কর্মীরা। উল্টে তাঁর সঙ্গে অভব্য ব্যবহার শুরু করেন বলে অভিযোগ। শুরু হয় দুই পক্ষের মধ্যে বচসা। তর্কাতর্কির মাঝে আচমকাই কপিলকে ঠেলে রাস্তায় ফেলে দেন টোল প্লাজ়ার কর্মীরা। তার পর ওই টোল প্লাজ়ার খুঁটিতে বেঁধে মারধরও করা হয়। টোল প্লাজ়ার সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে গোটা ঘটনা। ভিডিয়ো দেখে পাঁচ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। তাঁদের মধ্যে চার জনকে গ্রেফতার করা হলে পলাতক এক জন। ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়ায় ভুনিতে। গ্রামবাসীরা এসে ভাঙচুর চালান টোল প্লাজ়ায়।

Advertisement

কপিলের পরিবার সরুরপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে। সেই অভিযোগের ভিত্তিতে এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সরুরপুর থানার স্টেশন অফিসার অজয় শুক্ল এই অভিযোগের কথা স্বীকার করেছেন। গোটা ঘটনা বর্ণনা করে তিনি জানান, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মেরঠের পুলিশ সুপার (গ্রামীণ) রাকেশ মিশ্র জানান, পলাতক অভিযুক্তের খোঁজে দল গঠন করা হয়েছে। তবে এই ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত রয়েছে কি না, তা-ও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে বলে জানান রাকেশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement