সোনা কাণ্ডে খোঁচা জেটলির

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ৩১ মার্চ ২০১৯ ০১:৪১
Share:

—ফাইল চিত্র।

সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী সোনা কাণ্ড নিয়ে সরব হওয়ার পরে তা নিয়ে খোঁচা দিলেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।

Advertisement

অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীকে বিমানবন্দরে আটক করার পরে কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতরে কাজে রাজ্য পুলিশ হস্তক্ষেপ করেছে বলে শুক্রবারই সুপ্রিম কোর্টে অভিযোগ করেছিল মোদী সরকার। আজ নিজের ব্লগে জেটলির প্রশ্ন, ‘কোনও রাজ্য কি নিজের পুলিশকে শুল্ক দফতরের এলাকায় ঢুকিয়ে দিতে পারে এবং শুল্ক দফতর কী করবে, সেই নির্দেশ দিতে পারে?’ জেটলির অভিযোগ, এতে তো যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামোয় ধাক্কা লাগে।

শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও পশ্চিমবঙ্গের শাসক দলের অগণতান্ত্রিক পদ্ধতি নিয়ে অভিযোগ তুলেছিলেন। আজ জেটলি কর্নাটকে আয়কর হানার অভিযোগ তুলে জেডি (এস)-কংগ্রেসের নেতাদের সরব হওয়ার জন্য ইউপিএ নেতৃত্বকে নিশানা করেছেন। একইসঙ্গে নাম না করে পশ্চিমবঙ্গের ঘটনাও টেনে এনেছেন। পশ্চিমবঙ্গ সরকার সম্প্রতি সিবিআইকে রাজ্যে তদন্ত চালানোর ঢালাও অনুমোদান থেকে পিছিয়ে এসেছে। কিছু আয়কর দফতরের ক্ষেত্রেও রাজ্য একই পথ নিয়েছে। জেটলির যুক্তি, যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো মানে শুধু রাজ্যের অধিকার নয়। কেন্দ্রের অধিকারেরও নির্দিষ্ট এক্তিয়ার রয়েছে। দেশের নিরাপত্তা, সার্বভৌমত্ব, সন্ত্রাসবাদ দমন, শুল্ক দফতরের তল্লাশি, আয়কর দফতরের কর ফাঁকি রোখা— এ সব কেন্দ্রের ক্ষমতার মধ্যে পড়ে। রাজ্য যদি সেখানে বাধা হয়ে দাঁড়ায়, তা হলে সেটা যুক্তরাষ্ট্রীয় কাঠামো ভাঙার অপরাধ।

Advertisement

দিল্লি দখলের লড়াই, লোকসভা নির্বাচন ২০১৯

তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘‘ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপিই যুক্তরাষ্ট্রীয় ব্যবস্থাকে আক্রমণ করেছে। সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানের ক্ষমতা খর্ব করেছে। আর পশ্চিমবঙ্গে রাজনৈতিক বাধার মুখে পড়েছে, তাই এখন এ সব কথা বলছে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন