কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি।
নির্বাচনী বন্ড চালুর সিদ্ধান্তকে সমর্থন করতে গিয়ে বিরোধীদের খোঁচা দিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। ঘুরিয়ে প্রশ্ন তুললেন, আদৌ তাঁরা নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা চান কি না।
সম্প্রতি নির্বাচনী বন্ড চালুর সিদ্ধান্ত ঘোষণা করেছে কেন্দ্র। রাজনৈতিক দলকে চাঁদা দিতে গেলে ওই বন্ড কিনে তাদের হাতে তুলে দেওয়া যাবে। পরে দল নির্দিষ্ট অ্যাকাউন্ট থেকে সেই বন্ড ভাঙিয়ে নিতে পারবে। এতে নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় স্বচ্ছতা আসবে বলে দাবি সরকারের। স্বচ্ছতার দাবিতে আন্দোলনকারী ও বিরোধীদের অবশ্য দাবি, এতে স্বচ্ছতা আদৌ বাড়বে না। কারণ, বন্ড ভাঙাচ্ছে রাজনৈতিক দল। কে টাকা দিচ্ছেন তা জানার সম্ভাবনা নেই।
এক ফেসবুক পোস্টে বিষয়টি নিয়ে সরকারের অবস্থান ব্যাখ্যা করেছেন জেটলি। বিরোধীদের খোঁচা দিয়ে তাঁর বক্তব্য, ‘‘এখন রাজনৈতিক দলকে পুরোপুরি নগদে চাঁদা দেওয়া হয়। তাতে দাতা-গ্রহীতা, কারও পরিচয় জানা যায় না। বেআইনি উৎস থেকে আসা টাকাও নির্বাচনী প্রক্রিয়ায় ব্যবহৃত হচ্ছে। মনে হয় বেশির ভাগ দলই এই ব্যবস্থায় তুষ্ট।’’
জেটলি জানিয়েছেন, এনডিএ আমলে প্রথম এই ব্যবস্থায় সংস্কারের চেষ্টা শুরু হয়। তৎকালীন অটলবিহারী বাজপেয়ীর সরকার আয়কর আইন সংশোধন করে জানায়, রাজনৈতিক দলকে দেওয়া চাঁদাকে খরচ হিসেবে ধরা হবে। ফলে দাতা করের ক্ষেত্রে সুবিধে পাবেন। রাজনৈতিক দলও চাঁদার কথা সঠিক পদ্ধতি মেনে জানালে তাদের কর দিতে হবে না।
ইউপিএ জমানায় ট্রাস্টের মাধ্যমে চাঁদা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়। আশা ছিল, এতে অনেকে চেকে চাঁদা দিতে উৎসাহিত হবেন। কিন্তু তা হয়নি। কারণ বেশির ভাগ দাতাই পরিচয় প্রকাশ করতে রাজি হননি। কারণ, এক দলকে চাঁদা দেওয়ার কথা প্রকাশ্যে এলে অন্যান্য দলের ক্ষোভের মুখে পড়ার আশঙ্কা থাকে। জেটলির দাবি, এ জন্যই নির্বাচনী বন্ডের কথা ভাবা হয়েছে। এতে দাতার পরিচয় গোপন থাকলেও গোটা প্রক্রিয়ায় কিছুটা স্বচ্ছতা আসবে। কারণ, লেনদেন হচ্ছে ব্যাঙ্কের মাধ্যমে। রাজনৈতিক দলকেও আয়কর রিটার্নে বন্ডের মাধ্যমে পাওয়া টাকার কথা জানাতে হবে।