অরুণ জেটলি। —ফাইল চিত্র।
ক্ষমতায় এলে দেশের নিরাপত্তা ব্যবস্থার রূপরেখা তৈরি দায়িত্ব গত কালই অবসরপ্রাপ্ত সেনা অফিসার ডি এস হুডার হাতে তুলে দিয়েছেন রাহুল গাঁধী। হুডার নেতৃত্বেই ২০১৬ সালে সার্জিকাল স্ট্রাইক করেছিল ভারত। আজ এ নিয়ে পাল্টা আক্রমণে নেমে বিজেপি নেতা অরুণ জেটলি জানান, হুডাকে দায়িত্ব দিয়ে আসলে সার্জিকাল স্ট্রাইককে স্বীকৃতি দিল কংগ্রেস। মেনে নিল মোদীর আমলেই প্রথম সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছিল।
২০১৬-য় সার্জিকাল স্ট্রাইকের পরে একাধিক প্রশ্ন তোলে কংগ্রেস। আজ ফেসবুকে জেটলি লেখেন, আশা করব, কংগ্রেস এ বার বুঝতে পারবে সার্জিকাল স্ট্রাইক কোনও রুটিন পদক্ষেপ নয়। মোদী সরকারের আমলেই প্রথম বার ওই ধরনের আক্রমণ শানানো হয়েছিল। পাল্টা দাবিতে কংগ্রেস জানিয়েছে, ইউপিএ আমলে পাঁচ বার সার্জিকাল স্ট্রাইক হয়েছে। কিন্তু দেশের স্বার্থেই কংগ্রেস তা নিয়ে ঢাক পেটায়নি। একই সঙ্গে বাজপেয়ীর আমলে জইশ জঙ্গি মাসুদ আজহারের মুক্তিতে মোদী সরকারের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালের ভূমিকা নিয়ে কটাক্ষ করেছে তারা।
পুলওয়ামা কাণ্ডের পরে সাময়িক চুপ থাকলেও মোদী ও তাঁর নেতা-মন্ত্রীদের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ বিরোধীরা সরকারের বিরুদ্ধে সরব হতে শুরু করেছেন। তার মধ্যেই বিস্ফোরণের বিকেলে জিম করবেট জাতীয় উদ্যানে প্রধানমন্ত্রীর শুটিং করার তথ্য সামনে আসায় রীতিমতো ব্যাকফুটে শাসক শিবির। এই অবস্থায় আজ দলের হলে আসরে নেমে জেটলি বলেন, ‘‘গোটা বিশ্ব যখন সন্ত্রাসের প্রশ্নে নয়াদিল্লির পাশে, তখন ভারতে এ নিয়ে মতপার্থক্য রয়েছে, এমন কোনও বার্তা যেন না দেয় কংগ্রেস।’’ কংগ্রেসকে নিশানা করতে গিয়ে বেশ কিছু দিন আগে সেনাপ্রধান সম্পর্কে কংগ্রেস নেতা সন্দীপ দীক্ষিতের মন্তব্যও আজ মনে করান তিনি। এমনকি নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল নিয়েও প্রধান বিরোধী দলকে নিশানা করতে ছাড়েননি এই বিজেপি নেতা।