দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীওয়াল। ছবি পিটিআই।
আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির (আপ) প্রধান অরবিন্দ কেজরীওয়ালের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে এক পুলিশকর্তার বিরুদ্ধে। তাঁর নিরাপত্তার দায়িত্বে যেন ওই অফিসারকে রাখা না হয়, আদালতে তেমনই আবেদন করলেন কেজরীওয়াল। ২০২৩ সালে ঠিক একই অভিযোগ তুলেছিলেন আবগারি মামলায় ধৃত দিল্লির প্রাক্তন মন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া।
বৃহস্পতিবার ইডি কেজরীওয়ালকে গ্রেফতার করেছিল। তাঁর রাতটা কাটে ইডি দফতরে। নিয়ম মোতাবেক ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই তাঁকে আদালতে হাজির করানো হয়। শুক্রবার বিশেষ সিবিআই আদালতের বিচারক কাবেরী বাওয়েজার এজলাসে কেজরীওয়ালের মামলার শুনানি ছিল। সূত্রের খবর, শুনানির সময়ই আপ প্রধান আবেদন করেন। সেই আবেদনপত্রে তিনি দাবি করেছেন, দিল্লি পুলিশের অ্যাসিস্ট্যান্ট পুলিশ কমিশনার (এএসপি) একে সিংহ তাঁর সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছেন। ইডি হেফাজত থেকে তাঁকে যখন আদালতে আনা হচ্ছিল, তখন এএসপি তাঁর সঙ্গে খারাপ আচরণ করেছেন। তবে ঠিক কী ধরনের দুর্ব্যবহারের অভিযোগ করছেন কেজরীওয়াল, তা এখনও অজানা।
একে সিংহের বিরুদ্ধে দুর্ব্যবহার করার অভিযোগ নতুন নয়। এর আগে মণীশ একই অভিযোগ তুলেছিলেন। সে সময় আপ একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে দাবি করেছিল, আদালত প্রাঙ্গণে সাংবাদিকেরা যখন মণীশকে প্রশ্ন করছিলেন, তখন একে সিংহ তাঁকে ঘাড়ধাক্কা দেন। এই ঘটনায় দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী লিখিত অভিযোগও দায়ের করেছিলেন। যদিও দিল্লি পুলিশ সব অভিযোগ অস্বীকার করেছিল। তাদের দাবি ছিল, নিরাপত্তার জন্য ওই পদক্ষেপ করা হয়েছিল। যে কোনও অভিযুক্তের সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলা আইনবিরুদ্ধ।
২০২৩ সালে ফেব্রুয়ারি মাসে আবগারি মামলায় গ্রেফতার হয়েছিলেন মণীশ। সেই একই মামলায় বৃহস্পতিবার গ্রেফতার হন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার আদালতে ইডির তরফে আরও দাবি করা হয়েছে, আবগারি মামলায় ‘সাউথ গ্রুপ’কে সুবিধা পাইয়ে দিতে টাকা চেয়েছিলেন কেজরীওয়াল। এই দাবির পক্ষে বয়ানও আছে বলে আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। শুধু তা-ই নয় হাওয়ালার মাধ্যমে সমস্ত টাকার লেনদেন হয়েছে। ইডি প্রথমে দাবি করেছিল আপ নেতারা এই মামলায় ১০০ কোটি টাকা ঘুষ নিয়েছিলেন। শুক্রবার আদালতে ইডি দাবি করে, সেই টাকার অঙ্কের পরিমাণ ৬০০ কোটিতেও পৌঁছতে পারে। সেই ব্যাপারে সরাসরি কেজরীওয়ালের যোগ আছে বলে আদালতে জানায় কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা।