Aryan Khan

Aryan Khan Case: টাকা আদায়ের জন্য পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে শাহরুখ-পুত্রকে, দাবি এক সাক্ষীর

সাক্ষী বিজয় বলেন, “প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। টাকা ফিরিয়ে দেব। পরে বুঝছি কী ভাবে টাকা এসেছে।”

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

মু্ম্বই শেষ আপডেট: ০৭ নভেম্বর ২০২১ ০৯:১৮
Share:

গত ৩ অক্টোবর মাদক মামলায় গ্রেফতার হন আরিয়ান। ফাইল চিত্র।

আরিয়ান খান মাদক মামলা নিয়ে তদন্ত যত এগোচ্ছে, নতুন মোড় নিচ্ছে ততই। এ বার বিজয় পাগাড়ে নামে এক সাক্ষী এই মামলায় গঠিত বিশেষ তদন্তকারী দলের (সিট) কাছে দাবি করেছেন আরিয়ান খানকে পরিকল্পিত ভাবে ফাঁসানো হয়েছে বিপুল পরিমাণ টাকা আদায়ের জন্য। আর এ ক্ষেত্রে সুনীল পাটিলের নামও তুলেছেন বিজয়।

ঘটনাচক্রে শনিবারই মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতা মোহিত কম্বোজ অভিযোগ করেছিলেন, আরিয়ান মাদক কাণ্ডের পিছনে মূল ষড়যন্ত্রকারী ন্যাশনাল কংগ্রেস পার্টি(এনসিপি) ঘনিষ্ঠ সুনীল। সাক্ষী বিজয়কে জেরা করার সময় তিনি সুনীলের নাম করেছেন বলে দাবি সিটের তদন্তকারীদের।
পুলিশের কাছে কী জানিয়েছেন বিজয়?

Advertisement

মহারাষ্ট্রের ধুলের বাসিন্দা বিজয়ের দাবি, ২০০৮-এ কিছু কাজের জন্য সুনীলকে বেশ কিছু টাকা দিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সেই টাকা ফেরত পাচ্ছিলেন না। টাকা আদায়ের জন্য সুনীলকে অনুসরণ করা শুরু করেন। সুনীলের সঙ্গে তিনি আমদাবাদ, সুরত এবং মুম্বই গিয়েছিলেন। বিজয়ের আরও দাবি, গত ২৭ সেপ্টেম্বর থেকে নভি মুম্বইয়ের এক হোটেলে ছিলেন সুনীল। ওই হোটেলেই এই ঘটনার আর এক সাক্ষী কে পি গোসাভির নামেও একটি ঘর বুক করা হয়েছিল।

বিজয়ের দাবি, প্রমোদতরীতে মাদক নিয়ন্ত্রক সংস্থা (এনসিবি)-র অভিযান চালানোর কয়েক দিন আগে ওই হোটেলেই সুনীল, গোসাভির সঙ্গে দেখা করেন বিজেপি ঘনিষ্ঠ মণীশ ভানুশালী। বিজয়ের কথায়, “আমিও তখন ওই হোটেলেই ছিলাম। তাঁদের তিন জনকে একসঙ্গে দেখতে পাই। এমনকি সুনীলকে চুম্বন করার পর মণীশকে বলতে শুনেছিলাম বড় কাজ হয়ে গিয়েছে। আমদাবাদের উদ্দেশে রওনা হতে হবে। তবে পাগাড়েকে সঙ্গে নিও না।” কী ঘটতে চলেছে সেটা অনুমান করতে পারছিলেন না বলে পুলিশের কাছে দাবি করেন বিজয়।

Advertisement

বিজয়ের আরও দাবি, ৩ অক্টোবর ফের নভি মুম্বইয়ের সেই হোটেলে আসেন। তাঁর সঙ্গে দেখা করে বলেন টাকা নিয়ে যাওয়ার জন্য। তার পরই তাঁরা দু’জনে এনসিবি-র কার্যালয়ে যান। রাস্তাতেই মণীশ ফোনে কারও সঙ্গে কথা বলছিলেন। তখন তিনি পূজা, স্যাম এবং ময়ূর নামে তিন জনের নাম উল্লেখ করেন। তাঁর কথায়, “এনসিবি কার্যালয়ে পৌঁছতেই দেখি সেখানে সাংবাদমাধ্যমের ভিড়। তার পরই শুনতে পাই আরিয়ান খানকে আটক করেছে এনসিবি। এবং একটি ভিডিয়ো ক্লিপে দেখতে পাই যে আরিয়ানকে ঘিরে নিয়ে আসছেন মণীশ এবং গোসাভি। তখনই বিষয়টি আমার কাছে জলের মতো পরিষ্কার হয়ে গিয়েছিল যে এটা পুরোপুরি পূর্ব-পরিকল্পিত ঘটনা।”

আরিয়ানের আইনজীবী সতীশ মানশিন্ডের সঙ্গেও দেখা করার চেষ্টা করেছিলেন বলেও দাবি বিজয়ের। কিন্তু তাঁর কথা শোনা হয়নি। বিজয় বলেন, “প্রমোদতরীতে অভিযান চালানোর আগে সুনীল আমাকে বলেছিলেন একটা বড় কাজ পেয়েছি। আপনার টাকা ফিরিয়ে দেব। ব্যস ওইটুকুই। পরে বুঝলাম কাজটা কী ছিল এবং কী ভাবে টাকা এসেছে।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন