রাজস্থানের ঝালাওয়াড়ের জনসভায় রাহুল গাঁধী। (ডান দিকে) নয়াদিল্লিতে এক অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী। বুধবার। ছবি: পিটিআই
রাফাল-আতঙ্কের জন্যই প্রধানমন্ত্রী আইন ভেঙে সিবিআই প্রধানকে সরালেন বলে আক্রমণ শানালেন কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গাঁধী। তাঁর অভিযোগ, রাফাল দুর্নীতি নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করছিলেন অলোক বর্মা, তাই তাঁকে সরানো হল। বর্মার ঘনিষ্ঠরাও দাবি করছেন, রাফাল নিয়ে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করতে চাইছিলেন তিনি।
আজ বর্মাকে বাধ্যতামূলক ভাবে ছুটিতে পাঠানোর সিদ্ধান্ত চাউর হওয়ার পরে রাহুল টুইট করেন, ‘‘প্রধানমন্ত্রীর বার্তা স্পষ্ট। রাফালের ধারেকাছে যিনি আসবেন, তাঁকে সরানো হবে, শেষ করা হবে। দেশ আর সংবিধান বিপদে।’’
কংগ্রেসের যুক্তি, সিবিআই অধিকর্তা পদে নিয়োগের নির্দিষ্ট পদ্ধতি রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি আর বিরোধী দলনেতাকে নিয়ে গঠিত কমিটিই ওই পদে নিয়োগ করে। একমাত্র তাঁদেরই অধিকার আছে পদাধিকারীকে সরানো বা বদলি করার। কিন্তু সরকার সেই নিয়মের তোয়াক্কা করেনি। রাহুল টুইটে বলেন, ‘‘মিস্টার ৫৬ আইন ভেঙে প্রধান বিচারপতি আর বিরোধী দলের নেতাকে পাশ কাটিয়েছেন। মিস্টার মোদী, রাফাল মারাত্মক বিমান, যার চমৎকার রেডার আছে। আপনি পালাতে পারেন, কিন্তু লুকোতে পারবেন না।’’ সরকারের সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে বর্মা সুপ্রিম কোর্টে গিয়েছেন। সেখানে রাফালের নাম না করলেও ইঙ্গিত দিয়েছেন, স্পর্শকাতর তদন্ত থেকে সরাতেই এই সিদ্ধান্ত।
এ দিকে, রাফাল যোগের কথা তুলতেই বর্মার সঙ্গে বিরোধীদের যোগসাজশের অভিযোগ এনেছেন জেটলি। তাঁর যুক্তি, ‘‘বিরোধীরা কী করে জানলেন, সেই অফিসার (বর্মা) কী করতে চলেছেন? এতে তো সেই ব্যক্তির সততা নিয়েই প্রশ্ন ওঠে।’’
কংগ্রেস নেতা অভিষেক মনু সিঙ্ঘভির দাবি, বর্মাকে যখন নিয়োগ করা হয়, তখন তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ ছিল না। কিন্তু গুজরাতে থাকার সময় থেকেই আস্থানার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ ছিল। এখন দু’জনেই একই ভাবে অভিযুক্ত— কেন্দ্রের যুক্তিটি খেলো। কংগ্রেসের অভিযোগ, ভিজিল্যান্স কমিশনার কে ভি চৌধুরি প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ। তাই সরকারি সিদ্ধান্তে সায় দিয়েছেন তিনি।