উত্তর কাশ্মীরের সামসাবাড়ি রেঞ্জে একা হাতে চার জঙ্গিকে শেষ করে শহিদ হওয়া অরুণাচলের বাসিন্দা, রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের হাভিলদার হাংপান দাদাকে (৩৬) আজ মরণোত্তর অশোক চক্র দেওয়া হল। অন্য দিকে, উত্তর-পূর্বের তিন মহিলা-সহ ১০ বিস্মৃতপ্রায় স্বাধীনতা সংগ্রামীকে বিশেষভাবে স্মরণ করল কেন্দ্র। এঁদের মধ্যে রয়েছেন কনকলতা বরুয়া ও ভোগেশ্বরী ফুকনানি। ১৯৪২-এ শোণিতপুরের গোহপুরে থানায় তেরঙা পতাকা তোলার চেষ্টা করেন কনকলতা। একই দিনে বরহমপুরে ভোগেশ্বরী ফুকনানিও তেরঙা নিয়ে মিছিল করছিলেন। দু’জনকেই গুলি করে ইংরেজ। মণিপুর ও নাগাল্যান্ড থেকে ইংরেজদের উৎখাত করতে সশস্ত্র সংগ্রামে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন রানি গাইদেনলিউ। ১৯৪২-এ সরুপথারে ইংরাজ বাহিনীকে বয়ে আনা ট্রেনকে লাইনচ্যুত করার অপরাধে ব্রিটিশদ ব্রিটিশরা ফাঁসিতে ঝোলায় কুশল কোঁয়রকে। দু’জনকেই আজ স্মরণ করা হয়। অরুণাচলপ্রদেশে ভারত ছাড়ো আন্দোলনের নেতা মোজি রিবা, খাসি নেতা টিরট সিংহ, অসমের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী, নেতাজির সহযোগী গোপীনাথ বরদলৈ, মিজো নেতা প্রশালথা খুংচেরা, মাতমুর জামো, ডিমাসা স্বাধীনতা সংগ্রামী সম্বুধন ফোংলোকেও সম্মানিত করা হয়।