Assam

Assam CM Himanta: জনজাতির ঐতিহ্যকে গুরুত্ব হিমন্তের

শিলচর সার্কিট হাউসে ডিমাসা রাজত্বের শেষ রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। তার পর পাঁচ শতাধিক ফুট উঁচু ভুবনবাবার মন্দিরে পুজো দেন

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শিলচর শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২১ ০৮:৩৮
Share:

ফাইল চিত্র

আদিবাসী, জনজাতিদের স্বার্থ সুরক্ষা, অতীত সংরক্ষণে গুরুত্ব দিয়েছেন অসমের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা। দু’দিনের কাছাড় জেলা সফরে এসে কাল নানা প্রকল্পের শিলান্যাস, উদ্বোধন আর সরকারি বৈঠকে কাটান। আজ দিনটা বরাদ্দ করেন জনজাতিদের জন্য।

Advertisement

ব্রিটিশ অধিগ্রহণের আগে এই অঞ্চল ছিল ডিমাসা রাজাদের শাসনে। শিলচর থেকে ২২ কিলোমিটার দূরে খাসপুরে ছিল তাঁদের রাজবাড়ি। ভুবন শৈবতীর্থও ডিমাসা রাজারই আবিষ্কার।

মুখ্যমন্ত্রী আজ রাজবাড়ি ও ভুবন পাহাড় পরিদর্শন করেন। এর আগে সকালে শিলচর সার্কিট হাউসে ডিমাসা রাজত্বের শেষ রাজা গোবিন্দচন্দ্রের মূর্তির আবরণ উন্মোচন করেন। সেখান থেকে হেলিকপ্টারে চড়ে পাঁচ শতাধিক ফুট উঁচু ভুবনবাবার মন্দিরে যান, পুজো দেন। পরে আসেন খাসপুর রাজবাড়িতে। ঘুরে ঘুরে দেখেন রাজার বিভিন্ন কীর্তির ধ্বংসাবশেষ। সেখানে এক প্রকাশ্য সভাতেও অংশ নেন তিনি। আগে থেকেই নিরাপত্তারক্ষীরা সব পরীক্ষানিরীক্ষা করেন। কে কোথায় বসবেন, কারা মুখ্যমন্ত্রী থেকে কতদূরে অবস্থান করবেন, সব একেবারে মেপেমেপে চলতে থাকে। মুখ্যমন্ত্রী সভাস্থলে নিজের আসনে বসতেই কড়াকড়ির মাত্রা বেড়ে যায়। মুখ্যমন্ত্রীকে কাছে থেকে দেখার জন্য অনেকেই সামনে গিয়ে দাঁড়ান। কিন্তু পঞ্চাশ মিটারের মধ্যে কাউকে ঢুকতে দেওয়া হচ্ছিল না। হিমন্ত এক বার রক্ষীদের বলেন, ‘‘ছেড়ে দিন সবাইকে।’’ কিন্তু তাঁদের যে মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তাটা দেখতে হয়। কাউকে তাঁরা ব্যারিকেডের ভেতরে ঢুকতে দিতে নারাজ। শেষে অধৈর্য হয়ে হিমন্ত নিজে এগিয়ে যান ব্যারিকেডের মুখে। সবাইকে এনে বসান তাঁর নিরাপত্তার জন্য রাখা ফাঁকা জায়গায়। রক্ষীদের বলেন, ‘‘এঁরা হলেন রাজার মানুষ।’’ পরে বক্তৃতায় জানান, ভুবন পাহাড়ের শিবমন্দির ও খাসপুর রাজবাড়িকে অসমের পর্যটন মানচিত্রে আনা হচ্ছে। তিনি আজ পর্যটন মন্ত্রী বিমল বরা-কে দেখিয়ে বলেন, ‘‘তাঁকে প্রকল্প নিতে বলেছি। টাকা নিয়ে চিন্তা নেই‌।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন