বন্‌ধ ব্যর্থ করতে মরিয়া সরকার

আগামী কাল অসমের ৬০টি সংগঠনের ডাকা প্রতিবাদ দিবস ও ১২ ঘণ্টার অসম বন্‌ধ ব্যর্থ করার জন্য সব জেলার এসপি ও জেলাশাসককে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ অক্টোবর ২০১৮ ০২:১৯
Share:

আগামী কাল অসমের ৬০টি সংগঠনের ডাকা প্রতিবাদ দিবস ও ১২ ঘণ্টার অসম বন্‌ধ ব্যর্থ করার জন্য সব জেলার এসপি ও জেলাশাসককে কড়া নির্দেশ দিল রাজ্য সরকার। কিন্তু প্রতিবাদকারী সংগঠনগুলি দাবি, বন্‌ধের বিরোধিতা করে ‘হিন্দু বাংলাদেশিদের’ পক্ষে প্রত্যক্ষ বার্তা দিল বিজেপি। নাগরিকত্ব আইন সংশোধনী প্রসঙ্গে তৈরি যৌথ সংসদীয় কমিটির সঙ্গে দেখা করে প্রতিবাদ জানানোর পাশাপাশি, আগামী কাল শাসক জোটের শরিক অগপ প্রতিবাদ দিবস ঘোষণা করেছে।

Advertisement

এনআরসি থেকে বাঙালিদের নাম বাদ পড়া, ‘ডি ভোটার’ সাজিয়ে বাঙালিদের হেনস্থা ও নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাশ করার দাবিতে ২৬টি বাঙালি সংগঠন আগামী ১৭ নভেম্বর গুয়াহাটিতে গণ-সমাবেশের ডাক দিয়েছে। তার প্রতিবাদে জোটবদ্ধ হয়েছে বিভিন্ন অসমীয়া সংগঠন। তারা জানিয়েছে, ১৬ ও ১৭ নভেম্বর রাজ্য অচল করে দেওয়া হবে।

দিসপুরের নির্দেশ, বন্‌ধের সমর্থনে রাস্তায় নামলেই গ্রেফতার করা হবে। সচিবালয় থেকে পঞ্চায়েত— সব কর্মীর হাজিরা বাধ্যতামূলক। কোনও ব্যবসায়ী প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখলে বা পরিবহণ সংস্থা গাড়ি বন্ধ রাখলে ট্রেড লাইসেন্স বাতিল করা হতে পারে। রাস্তায় নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিপুল রক্ষী মোতায়েনের নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। সরকারের বক্তব্য, বন্‌ধ নিষিদ্ধ করে গৌহাটি হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে। অসমীয়াদের বিরোধিতা নয়, আদালতের নির্দেশ মেনেই সরকার বন্‌ধ করতে দিতে পারে না। সরকার জানিয়েছে, ১৭ নভেম্বর বাঙালিদের গণ-সমাবেশের অনুমতিও দেওয়া হবে না। রাজ্যের পরিস্থিতি অশান্ত হতে পারে এমন কোনও পদক্ষেপই করা সম্ভব নয়।

Advertisement

বন্‌ধকে সমর্থন করেছেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রিপুন বরা। দলের বাঙালি নেতারা প্রদেশ সভাপতির এই সিদ্ধান্তে খুশি নন। তাঁদের মতে, এতে কংগ্রেস যে বাঙালি বিরোধী, সেই বার্তাই যাবে বাঙালি ভোটারদের কাছে। দলের মুখপাত্র অভিজিৎ মজুমদারের মতে, কংগ্রেসের উচিত নিজেদের অবস্থানে অটল থাকা।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement