দুর্নীতি দমনে তৎপর সরকার, দাবি সর্বার

১৭ হাজার কোটি টাকা দেনা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেও স্বচ্ছ-দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের দিকে অনেকটা এগিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার— আজ এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০২ সেপ্টেম্বর ২০১৬ ০৪:০১
Share:

১৭ হাজার কোটি টাকা দেনা মাথায় নিয়ে কাজ শুরু করেও স্বচ্ছ-দুর্নীতিমুক্ত সরকার গঠনের দিকে অনেকটা এগিয়েছে অসমের বিজেপি সরকার— আজ এমনই দাবি করলেন মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়াল।

Advertisement

সরকারের ১০০ দিনের খতিয়ান তুলে ধরতে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলন করেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে ছিলেন জলসম্পদমন্ত্রী কেশব মহন্ত, বনমন্ত্রী প্রমীলারানি ব্রহ্ম।

মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “পূর্বতন সরকারের আমলে দুর্নীতিতে অতিষ্ঠ জনতা বিজেপির হাতে দায়িত্ব তুলে দিয়েছিলেন। তিন মাসে নয়া সরকার সব চেয়ে বেশি জোর দিয়েছে দুর্নীতি দমনে। মানুষকে বোঝানো হয়েছে, ঘুষ নেওয়া ও দেওয়া সমান অপরাধ। সাধারণ মানুষও অনেক দুর্নীতিগ্রস্ত অফিসারকে ধরিয়ে দিয়েছেন।”

Advertisement

মুখ্যমন্ত্রী জানান, সরকার ভাল করে কাজ শুরু করার আগেই বন্যার প্রকোপ ছড়ায়। বিধানসভা অধিবেশন স্থগিত রেখে বিধায়করা নিজের নিজের কেন্দ্রে মানুষের পাশে গিয়ে দাঁড়ান। টাকার অভাবে আগের সরকারের আমলে নাগরিকপঞ্জি নবীকরণের কাজ থমকে ছিল। বিজেপি জোট টাকা নিয়ে এসে কাজ শুরু করে। ২০১৭ সালের মধ্যে নবীকরণের কাজ শেষ হবে। সীমান্ত সিল করতে কাঁটাতারের দায়িত্ব সেনাবাহিনীকে দেওয়ার জন্য কেন্দ্রকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। আগের সরকারের আমলে সীমান্তের বেড়া ঠিক ভাবে বসানো হয়নি বলে তা ভেঙে গিয়েছিল। দীর্ঘদিনের বকেয়া তেল রাজস্বের ১ হাজার ৪৫০ কোটি টাকাও আদায় করেছে এই সরকার। মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “১০০ দিনে ভিশন ডকুমেন্টের কাজ শেষ করা সম্ভব নয়। তবে আগামী দিনের সব প্রকল্প যাতে সুচারু ও সুপরিকল্পিত ভাবে সম্পন্ন করা যায়, তার ভিত্তি তৈরি হয়েছে। পরিকল্পনার অভাবেই আগের সরকার ১২ হাজার কোটি টাকার ব্যবহারিক শংসাপত্র দিতে পারেনি।”

তিনি জানান, লখিমপুর ও ধুবুরিতে মেডিক্যাল কলেজের জমি নেওয়া হয়েছে। অরণ্য সংরক্ষণে স্থানীয় মানুষকে সঙ্গে নিয়ে চলা হবে। বাইরের বিশেষজ্ঞদের এনে সংরক্ষণের পরামর্শ নেওয়া হবে।

মর্বানন্দ জানান, মূল্যবৃদ্ধি রুখতে খাদ্য ও গণবন্টন দফতর এবং জেলাশাসকদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। অবৈধ মজুতের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে।

এ দিন মুখ্যমন্ত্রী জানান, ৮ সেপ্টেম্বর থেকে মাজুলি পৃথক জেলা হিসেবে আনুষ্ঠানিক ভাবে কাজ শুরু করবে। হোজাই, বরপেটা, বিহপুরিয়ায় তিনটি বিশ্ববিদ্যালয় তৈরি করা হবে। তিনি বলেন, ‘‘আগের সরকার এত বছরেও ডবল-লাইন করতে পারেনি। আমরা ১০০ দিনের মধ্যে বঙাইগাঁও-লামডিংয়ে তা করে ফেলেছি। ডিব্রুগড় পর্যন্ত সমীক্ষা চলছে। অসমকে অনুপ্রবেশ ও দূষণমুক্ত করতে চায় জোট সরকার।’’

মুখ্যমন্ত্রী জানান, কেন্দ্র ও সিলেক্ট কমিটির সুপারিশ মেনে নাগরিকত্ব নিয়ে সিদ্ধান্ত হবে। ভূমিপুত্ররা বঞ্চিত হবেন না। তিনি আরও জানান, ব্রহ্মপুত্র ড্রেজিং নিয়ে বিশ্বব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা চলছে। উপনদীগুলিকে জলপথ হিসেবে ব্যবহারের কথা চলছে। পৃথক বড়োল্যান্ড প্রসঙ্গে তিনি জানান, “আমি সকলকে নিয়ে আলোচনার মাধ্যমে এগোতে চাই।”

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement