এখনই আর কাউকে ‘ডাউটফুল’ বা সন্দেহজনক ভোটারের নোটিস পাঠানো হবে না। জানাল অসম সরকার।
হিন্দু শরণার্থীদের নাগরিকত্ব দেওয়ার ক্ষেত্রে অসমকে বাদ রেখে কেন্দ্র সরকার নির্দেশিকা জারির ৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই অসমের বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকার ডি-ভোটার প্রশ্নে ধীরে চলার নীতি নিল। ঠিক হয়েছে, এখনই আর কাউকে ‘ডাউটফুল’ বা সন্দেহজনক ভোটারের নোটিস পাঠানো হবে না। রাজ্যের সব জেলার এসপির কাছে এই মর্মে নির্দেশ পাঠানো হচ্ছে।
রাজ্যে নাগরিকত্ব ও ডি-ভোটার সমস্যা, নিয়ে দ্বিমুখী বিক্ষোভের সামনে পড়েছে বিজেপি জোট সরকার। এক দিকে, হিন্দু বাংলাদেশিদের নাগরিকত্ব দেওয়া নিয়ে তীব্র বিক্ষোভ চলছে। জোট শরিক অসম গণ পরিষদ জোট ত্যাগের হুমকিও দিয়েছে। অন্য দিকে, বাঙালি সংগঠনগুলি নাগরিকত্ব আইন সংশোধনের পক্ষে আন্দোলন শুরু করেছে। তাদের দাবি, এক দিকে বাঙালিদের নাম ইচ্ছাকৃত ভাবে এনআরসি খসড়া থেকে বাদ দেওয়া হয়েছে। অন্য দিকে, ভারতীয় হওয়ার সব প্রমাণ থাকার পরেও তাঁদের নামে ডি-ভোটারের নোটিস পাঠানো হচ্ছে। অতিবৃদ্ধদেরও বাদ দেওয়া হচ্ছে না।
তাদের বক্তব্য, ডি-ভোটারের নোটিস এলে উকিলের খরচ, ঘুষ ও অন্য খরচ দিতে দরিদ্র পরিবারগুলি নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। অবসরপ্রাপ্ত এবং কর্মরত সেনা ও বায়ুসেনা কর্মীদের নামেও আসছে নোটিস। এ দিকে, হাইকোর্ট ও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ডি-ভোটার ও তাঁর পরিবারের কারও নামই এনআরসিতে থাকছে না। তাই এনআরসির চূড়ান্ত খসড়া থেকেও বহু ডি-ভোটার ও তাঁদের পরিবারের নাম অন্যায় ভাবে বাদ পড়েছে।
এই নিয়ে স্পিকার হিতেন্দ্রনাথ গোস্বামী বৈঠক করেন। অনেকেরই দাবি, এনআরসির কাজ যখন চলছে, সেখানেই প্রকৃত ভারতীয় বা প্রকৃত ভোটার যাচাই হবে। সরকারের তরফে পরিষদীয় মন্ত্রী চন্দ্রমোহন পাটোয়ারি জানান, এনআরসি চলাকালীন আর কাউকে ডি-ভোটারের নোটিস পাঠানো হবে না।