একেবারে জিরো লাইনে গিয়ে সীমান্ত পরিদর্শন করলেন অসমের রাজ্যপাল পদ্মনাভ বালকৃষ্ণ আচার্য। করিমগঞ্জের সুতারকান্দি সীমান্ত এলাকা পরিদর্শনের পাশাপাশি জিরো লাইনে থাকা বাংলাদেশের বর্ডার গার্ডদের সঙ্গেও সৌজন্যমূলক আলোচনা করেন তিনি। সুতারকান্দি সীমান্ত দিয়ে আমদানি-রফতানি এবং পাসপোর্ট নিয়ে লোকজন আসা-যাওয়া করে থাকেন। ফলে সেই জায়গার জিরো লাইনে অনেকেই যেতে পারেন।
সীমান্ত পরিদর্শনের পর রাজ্যপাল বিএসএফ, পুলিশ সুপার, কাষ্টমস সুপার, জেলাশাসকের সঙ্গেও সংক্ষিপ্ত আলোচনা করেন। সীমান্ত দিয়ে কি ভাবে মানুষ আসা-যাওয়া করে, পাসপোর্ট চেকপোস্টে কি ধরনের নথি জমা রাখা হয় ইত্যাদি জানতে চান। এ বিষয়ে পুলিশ সুপার প্রদীপ রঞ্জন কর তাঁকে বিশদে অবহিত করেন। রাজ্যপাল জানতে চান বাংলাদেশ থেকে প্রতিনিয়ত আসা-যাওয়া করা পুরুষ এবং মহিলাদের উপর বিশেষ নজরদারি রাখা হচ্ছে কিনা। ৩০ জুলাইয়ের মধ্যে হিন্দুদের সে দেশ ছাড়ার যে ফতোয়া জারি করেছে মৌলবাদীরা, তার কোন প্রভাব সীমান্ত জেলা করিমগঞ্জে পড়েছে কিনা তা নিয়েও জানতে চান তিনি।
সেখান থেকে তিনি সিপাহি বিদ্রোহের স্মৃতি বিজড়িত মালেগড়টিলায় গিয়ে শহিদদের উদ্দেশে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করেন। এ ছাড়া করিমগঞ্জের আকবরপুরে থাকা কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের বিজ্ঞানীদের সঙ্গেও আলোচনা করেন। উল্লেখ্য, করিমগঞ্জের কৃষি গবেষণা কেন্দ্র যোরহাট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্তর্গত। রাজ্যপাল সেই বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যও। করিমগঞ্জের জেলা প্রশাসন-সহ বিভিন্ন সরকারি আধিকারিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সঙ্গে মত বিনিময় করেন।
আগামী কাল তিনি হাইলাকান্দি জেলা সফর করবেন। রাজ্যপালের সফর ঘিরে হাইলাকান্দিতে সাজ সাজ রব। হাইলাকান্দির জেলাশাসক মলয় বরা রাজ্যপালের সফরের প্রস্তুতি খতিয়ে দেখেন। হাইলাকান্দির ভারপ্রাপ্ত তথ্য ও জনসংযোগ আধিকারিক রাজীব রায় জানিয়েছেন, রাজ্যপাল রবিবার সকাল ন’টায় হাইলাকান্দি পৌঁছবেন। মনাছড়ার নবোদয় বিদ্যালয় মাঠে হেলিকপ্টারে করে পৌঁছে সেখান থেকে জেলাশাসকের কার্যালয়ে যাবেন। সরকারি কর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। সকাল এগারোটায় জেলার বিশিষ্ট নাগরিক এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিনিধিদের সঙ্গে রাজ্যপাল মিলিত হবেন। বেলা বারোটায় সাংসদ এবং বিধায়কদের সঙ্গে বৈঠক করবেন। এ ছাড়াও আরও কয়েকটি অনুষ্ঠানে তাঁর যোগ দেওয়ার কথা আছে। রবিবার বিকেলেই রাজ্যপাল শিলচরের উদ্দেশ্যে রওয়ানা দেবেন বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে।