জমি বাড়ির তথ্য দিতে বিপুল সাড়া

নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসেন না কোনও সরকারি কর্মী। তাই ১১টা বা ১২টার আগে সাধারণ মানুষ সরকারি অফিসের ধার মাড়ান না। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেল আজ। সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই একটি সরকারি অফিসের সামনে উপচে পড়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ মে ২০১৫ ০২:৪৫
Share:

নির্দিষ্ট সময়ে অফিসে আসেন না কোনও সরকারি কর্মী। তাই ১১টা বা ১২টার আগে সাধারণ মানুষ সরকারি অফিসের ধার মাড়ান না। কিন্তু ব্যতিক্রম দেখা গেল আজ। সকাল সাড়ে সাতটা থেকেই একটি সরকারি অফিসের সামনে উপচে পড়েছে সাধারণ মানুষের ভিড়।

Advertisement

সরকারি কার্যালয়ের সামনে দাঁড়ানো দীর্ঘ লাইনে দস্তুরমত বচসা চলছে। জায়গা রাখা নিয়ে ছোটখাটো হাতাহাতির ঘটনাও ঘটেছে। এই ভিড় দেখে অনেকেই হতবাক। বাজারের ব্যাগ হাতে ভদ্রলোকও দাঁড়িয়ে পড়েন। তীব্র কৌতুহল, লাইন কেন? প্রশ্ন, তাহলে কী জনগণের সমস্যা লাঘব করতে এখন থেকে সকাল সাড়ে সাতটায় অফিস খোলার নির্দেশ দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ? না তা নয়। আসলে অসম সরকার তাদের জমির রেকর্ড সংক্রান্ত নথিতে সাম্প্রতিকতম তথ্যের অন্তর্ভূক্তি অভিযান শুরু করেছে রাজ্য জুড়ে। তাতেই উপচে পড়েছে ভিড়। খাজনা জমা দেওয়া থেকে নিজের জমির নামজারি, জমির মালিকানা, বাটোয়ারা ইত্যাদি সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য নিয়ে মানুষ হাজির হচ্ছেন সরকারি দফতরে। ১মে থেকে ১৫ পর্যন্ত সরকারি নথি ‘আপডেট’-এর এই কাজ করা হবে। ফলে আজ ও আগামী কালের মধ্যে যা করার তা শেষ করতে হবে। তাই শেষ মুহূর্তে সাতসকাল থেকেই পড়েছে লম্বা লাইন। লক্ষ্য অফিস খুললেই প্রথমে নিজেদের নথিপত্র নিয়ে সরকারি কর্তাদের সামনে হাজির হওয়া। তবে সার্বিক ভাবে সরকারি এই অভিযানে ব্যাপক সাড়া মেলায় খুশি প্রশাসনিক কর্তারা।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন