গুলির লড়াইয়ে নিহত এক জঙ্গির দুই সন্তানের দায়িত্ব নিল আসাম রাইফেল্স। শুধু তাই নয়, নিহত জঙ্গির স্ত্রীকে অর্থ সাহায্য দেওয়ার পাশাপাশি আসাম রাইফেল্স তাঁকে চাকরিও দিতে চলেছে। সন্ত্রাস দমন অভিযান চালানোর সময় ও আফস্পার আওতায় আসাম রাইফেল্স-এর বিরুদ্ধে বরাবর অমানবিকতারই অভিযোগ উঠেছে। সেই দিক থেকে এই ঘটনা একেবারেই ব্যতিক্রমী।
গত ৩১ মার্চ অসম-অরুণাচল সীমানায় আসাম রাইফেল্স-এর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মায়ানমারে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত এনডিএফবি-সংবিজিত গোষ্ঠীর স্বঘোষিত সার্জেন্ট-মেজর রতন নার্জারি মারা যায়। পরে জওয়ানরা নিহত জঙ্গির পরিবারের সন্ধানে গিয়ে দেখেন তাঁর স্ত্রী ও দুই সন্তান রয়েছে। অসহায় পরিবারকে সাহায্য দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় আসাম রাইফেল্স। রতনের স্ত্রীকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা অর্থ সাহায্য দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি, আসাম রাইফেল্স-এর লকরার স্কুলে তাঁকে চাকরিও দেওয়া হবে। রতনের এক বছরের মেয়ে ও তিন বছরের ছেলেরও লেখাপড়ার ভার নিয়েছে আসাম রাইফেল্স। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, দু’জনের বয়স ১৮ বছর হওয়া পর্যন্ত প্রতিমাসে তাঁদের ২৫০০ টাকা করে ভাতা দেওয়া হবে। একই সঙ্গে তারা এটাও জানিয়েছে, এটি কোনও নিয়ম নয়। ঘটনা বিশেষে, পরিস্থিতি যাচাই করার পরেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।