Hair Cutting

অসমের স্কুলে শৃঙ্খলার কাঁচি! নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে ৩৫ পড়ুয়ার চুল কেটে দিলেন শিক্ষক

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। অভিভাবকদের পাল্টা দাবি, এ ভাবে হেনস্থায় চরম অপমানিত তাঁদের ছেলেমেয়েরা আর স্কুলে যেতে চাইছে না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

গুয়াহাটি শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৩ ১৬:৫৮
Share:

স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের ছোট করে চুল ছাঁটাই নিয়ম। এ নিয়ে বহু বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও হেলদোল নেই পড়ুয়া-সহ তাদের অভিভাবকদের। —প্রতীকী ছবি।

স্কুলের নিয়মে পড়ুয়াদের চুল বড় রাখার বিধান নেই। নিয়মানুবর্তিতা শেখাতে সাতসকালে স্কুলের প্রার্থনার জমায়েতে অন্তত ৩৫ পড়ুয়ার চুল কেটে নিলেন এক শিক্ষক। অভিযোগ, অসমের মাজুলি জেলার একটি বেসরকারি স্কুলে বৃহস্পতিবার পড়ুয়াদের এ ভাবেই শাস্তি দিয়েছেন সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ।

Advertisement

এ হেন শাস্তির কথা জানাজানি হতেই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে মাজুলি জেলা প্রশাসন। যদিও স্কুল কর্তৃপক্ষের দাবি, পড়ুয়াদের ছোট করে চুল ছাঁটাই নিয়ম। এ নিয়ে বহু বার হুঁশিয়ারি দেওয়া হলেও হেলদোল নেই পড়ুয়া-সহ তাদের অভিভাবকদের। তাই নিয়মানুবর্তিতা বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ করা হয়েছে। তবে অভিভাবকদের পাল্টা দাবি, সকলের সামনে এ ভাবে হেনস্থায় চরম অপমানিত তাঁদের ছেলেমেয়েরা আর স্কুলে যেতে চাইছে না। সংবাদমাধ্যমের কাছে এক অভিভাবকের বলেন, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ইউনিফর্ম পরা এবং শৃঙ্খলাপরায়ণ হওয়া উচিত। তবে সে জন্য গোটা স্কুলের সামনে তাদের চুল কেটে দিতে হবে, এমন অপমানও করা উচিত নয়।’’

মাজুলির একটি ইংরেজি মাধ্যম স্কুলের ওই ঘটনায় শোরগোল শুরু হতেই বিবৃতি দিয়েছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। বিবৃতিতে তাঁদের দাবি, ‘‘পড়ুয়াদের মা-বাবাকে স্কুলের নির্দেশিকা সংক্রান্ত বিষয়ে বার বার ওয়াকিবহাল করা হয়েছে। তবে তাতে লাভ হয়নি। পড়ুয়াদের শৃঙ্খলা শেখাতেই এই পদক্ষেপ করা হয়েছে।’’

Advertisement

স্কুলপড়ুয়াদের যে চুল ছোট রাখতে হবে, এমন কোনও সরকারি বিধান নেই বলে দাবি মাজুলি জেলার শিক্ষা দফতরের। শুক্রবার গোটা ঘটনায় তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন জেলার ডেপুটি কমিশনার কাবেরী বি শর্মা। তিনি বলেন, ‘‘প্রাথমিক তদন্তের পর জানা গিয়েছে, পড়ুয়াদের চুল ছেঁটে দেওয়া হয়নি। তা কেটে দিয়েছেন ওই স্কুলের এক শিক্ষক।’’ যে শিক্ষক পড়ুয়াদের চুল কেটে দিয়েছেন, তাঁকে চিহ্নিত করা হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে খবর। যদিও তাঁর দাবি, গোটা ঘটনায় তাঁর বিশেষ ভূমিকা নেই। তিনি শুধু মাত্র স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশ পালন করেছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন