শেষ ইনিংসে ঝোড়ো ব্যাটিং করে দুর্গ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে মরিয়া বিজেপি

গোড়া থেকেই দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, মানুষের মন এক বার তৈরি হয়ে গেলে আর তার পরিবর্তন হয় না। বিজেপির ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ ডিসেম্বর ২০১৮ ০২:৫৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আজ ভোট রাজস্থানে। রাজনৈতিক সূত্র বলছে, শেষ ইনিংসে ঝোড়ো ব্যাটিং করে দুর্গ ধরে রাখার চেষ্টা করেছে মরিয়া বিজেপি। বসুন্ধরা রাজে সিন্ধিয়া ঘূর্ণির মতো প্রচার করেছেন মেবার থেকে শেখাওয়াতি— রাজস্থানের বিস্তীর্ণ অঞ্চলে। শুধু তিনিই নন, একেবারে শেষ পর্বে গা ঝাড়া দিয়ে উঠে প্রধানমন্ত্রী-সহ বিজেপির তারকা প্রচারকেরা (রাজনাথ সিংহ, যোগী আদিত্যনাথ, অমিত শাহ, সুষমা স্বরাজ, নিতিন গডকড়ী প্রমুখ) ঘুরেছেন রাজ্যের মরু ময়দানে। তবে গোড়া থেকেই দৌড়ে অনেকটা এগিয়ে থাকা আশাবাদী কংগ্রেস নেতৃত্বের দাবি, মানুষের মন এক বার তৈরি হয়ে গেলে আর তার পরিবর্তন হয় না। বিজেপির ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে গিয়েছে।

Advertisement

স্থানীয় শিবিরের মতে, শেষ এক সপ্তাহে বেশ কিছু নাগালের বাইরে চলে যাওয়া আসনকে ধরে রাখার প্রশ্নে কয়েক কদম এগিয়েছেন রাজে। ‘‘যে দিন রাজ্যের ভোটের তারিখ ঘোষণা হল, সে দিনও রাজস্থানে এমন বিজেপি-বিরোধী হাওয়া যে সাট্টা বাজারে মোট ২০০টি বিধানসভা আসনের মধ্যে কংগ্রেসের পক্ষে ছিল ১৪০। কিন্তু এখন বিজেপি কিছুটা হলেও ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে বলেই মনে করা হচ্ছে,’’ জানাচ্ছেন জয়পুরের রাজনৈতিক কলমচি এবং বিশেষজ্ঞ ললিত শর্মা।

ঘটনা হল, এ বারের ভোটে কিন্তু প্রথম থেকেই পথেঘাটে মোদী-বিরোধী কোনও ক্ষোভ চোখে পড়েনি। রাজপুতই হোক অথবা গুজ্জর বা মিনা— গত ভোটে মোদীর প্রতি আনুগত্য দেখানো ভোটারেরা বলছেন, ‘প্রধানমন্ত্রী দেশকে নতুন করে দাঁড় করানোর জন্য অনেক চেষ্টা করেছেন। কিন্তু আমাদের রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তা বাস্তবায়িত হতে দেননি। পনেরো লক্ষ চাকরি দেওয়ার ঘোষণা ছিল ২০১৩ সালের ইস্তাহারে। কৃষকদের ঋণ মকুব করার প্রতিশ্রুতিও। কিছু হয়নি।’

Advertisement

রাজস্থানে আসন বণ্টনের পর বসুন্ধরার অপেক্ষায় না থেকে মোদী ঝাঁপিয়েছেন নিজের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগিয়ে ফসল তুলতে। প্রবল মেরুকরণের পাশাপাশি হঠাৎ করে হাতে পাওয়া অগুস্তা অস্ত্র শেষ দিকে কিছুটা অক্সিজেন দিয়েছে বিজেপির প্রচারে। যদিও ভোট বিশেষজ্ঞ নারায়ণ পাণ্ডের কথায়, ‘‘কৃষকদের হতাশা, পাঁচ বছরের ক্ষমতাসীন দলের বিরুদ্ধে হাওয়া, গণপিটুনি ও দলিত হত্যার মতো ঘটনাগুলিতে ক্রমশ পায়ের তলা থেকে জমি সরেছে বসুন্ধরা রাজের। একটা অগুস্তার মতো অভিযোগ রাজস্থানের গ্রামাঞ্চলে খুব বিরাট ক্ষত মেরামতি করতে পারবে বলে মনে হয় না। তবে কংগ্রেস এই পরিস্থিতিতে নিজেদের কতটা শক্তি বাড়িয়ে নিতে পারে, এখন সেটাই দেখার।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন