প্রার্থী বাছাইয়ে আরও কড়া সভাপতি

সভাপতি হয়েই রাহুল জানিয়ে দিয়েছিলেন, টিকিট চাইতে কাউকে দিল্লি আসতে হবে না। রাজ্যেই বিশেষ কমিটি থাকবে। সেখানেই কর্মীরা জানাবেন, কাকে প্রার্থী করতে চান।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৮ নভেম্বর ২০১৮ ০২:৪০
Share:

প্রার্থী বাছাই নিয়ে দলের মধ্যে কোন্দল দেখে এ বার রাশ ধরলেন রাহুল গাঁধী।

Advertisement

সভাপতি হয়েই রাহুল জানিয়ে দিয়েছিলেন, টিকিট চাইতে কাউকে দিল্লি আসতে হবে না। রাজ্যেই বিশেষ কমিটি থাকবে। সেখানেই কর্মীরা জানাবেন, কাকে প্রার্থী করতে চান। কিন্তু মধ্যপ্রদেশের প্রার্থী বাছাই করতে গিয়ে দেখা গেল, রাজ্যের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে মতবিরোধ হচ্ছে। দলীয় সূত্রে খবর, দিগ্বিজয় সিংহ আর জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া নিজেদের পছন্দের নেতাকে প্রার্থী করতে বচসায় জড়িয়ে পড়েছিলেন।

পরে অবশ্য দুই নেতাই এই বচসার কথা অস্বীকার করেছেন। কিন্তু দলের কর্মীদের ক্ষোভ পৌঁছে গিয়েছিল দিল্লির এআইসিসি দফতরে। এমনকি এআইসিসির শৌচাগারেও টাকা নিয়ে টিকিট বেচার অভিযোগ তুলে কংগ্রেস কর্মীরা পোস্টার সেঁটে দিয়েছিলেন।

Advertisement

কাণ্ড দেখে রাহুল এ বার আরও শক্ত হাতে রাশ ধরেছেন। দলীয় সূত্রের দাবি, রাহুল জানিয়ে দিয়েছেন রাজস্থানের প্রার্থী বাছাইয়ের সময়ে এই ধরনের আচরণ বরদাস্ত করা হবে না। তৃণমূল স্তরের কর্মীদের কাছ থেকে যে সব নাম এসেছে, সেগুলি রাহুলের কাছে পাঠাতে হবে। দলের কেন্দ্রীয় নির্বাচনী কমিটিতে সব নাম নিয়ে বিশদ আলোচনা করতে হবে। ওই নামগুলির মধ্যে কোনও নাম বাদ দিতে হলে রাহুলকে বাদ দেওয়ার কারণ বোঝাতে হবে। দলের সংগঠনের দায়িত্বে থাকা নেতা অশোক গহলৌতকে রাজস্থানে পাঠিয়েছেন রাহুল। তাঁকে কর্মীদের কাছ থেকে নাম সংগ্রহের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।

আজ জোধপুর পৌঁছে গিয়েছেন গহলৌত। সেখানে তাঁর সঙ্গে দেখা করতে আসেন বহু কর্মী। গহলৌতও আশ্বস্ত করেছেন, ‘‘কোনও পদে থাকা ব্যক্তিকে এখন আর বাড়তি গুরুত্ব দেওয়া হবে না। যোগ্য ব্যক্তিকেই প্রার্থী করা হবে।’’ কংগ্রেসের এক নেতা বলেন, ‘‘এত লোক প্রার্থী হতে চাইছেন, সেটি অবশ্য একটি শুভ ইঙ্গিত। রাহুল গাঁধীর সক্রিয়তায় কংগ্রেসের গুরুত্ব বাড়ছে। কিন্তু অন্য দিকটি হল, রাহুল বরাবর ক্ষমতা বিকেন্দ্রীকরণের পক্ষে। রাজ্য নেতাদের হাতে বাড়তি ক্ষমতা দিয়ে রেখেছেন। অনেক বিষয়েই নিজের মত ভিন্ন হলেও রাজ্য নেতাদের মতামত মেনে নেন। কিন্তু যদি নেতারাই গোলমাল শুরু করেন,
তা হলে তো মুশকিল।’’

বিজেপি নেতা অমিত মালব্যের অবশ্য অভিযোগ, ‘‘প্রার্থী করার নামে কংগ্রেস দাগিদের টিকিট দিচ্ছে। সম্প্রতি কমল নাথের একটি ভিডিয়ো সামনে এসেছে। সেখানে কমল নাথ বলছেন, যাঁর বিরুদ্ধে যত বেশি মামলা, তাঁর প্রার্থী হওয়ার সম্ভাবনা তত বেশি।’’ মুখ্যমন্ত্রী শিবরাজ সিংহ চৌহানও এই ভিডিয়ো নিয়ে কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রচার করছেন।

কংগ্রেসের পাল্টা দাবি, দাগিদের বিজেপিও প্রার্থী করে। রাজনীতিতে থাকলে অনেক ভুয়ো মামলায় ফাঁসানো হয়। যাঁর জেতার সম্ভাবনা বেশি, রাহুল তাঁকেই প্রার্থী করছেন। কংগ্রেসের দাবি, রাজস্থানে তারা অনায়াসে জিতবে। মধ্যপ্রদেশে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হলেও কংগ্রেস জিতবে। আর ছত্তীসগঢ়ে অজিত যোগী-মায়াবতী বেশি বেগ না দিলে সে রাজ্যও কংগ্রেসের হাতেই আসবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন