কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী শিবির তাকিয়ে রয়েছে রাজস্থানের ফলাফলের দিকে।
পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচন শেষ। এ বার ফল ঘোষণার পালা। কংগ্রেস-সহ বিজেপি বিরোধী শিবির তাকিয়ে রয়েছে রাজস্থানের দিকে।
২০১৩ সালের নির্বাচনে ২০০ আসন বিশিষ্ট রাজস্থান বিধানসভায় ১৬৩ জন বিধায়ক ছিলেন বিজেপির। কংগ্রেসকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় মাত্র ২১টি আসন নিয়ে। পরের বছর ২০১৪ সালের লোকসভা নির্বাচনেও দাঁত ফোটাতে পারেনি বিরোধীরা। রাজ্যের ২৫টি লোকসভার সব ক’টি জিতেছিলেন ভারতীয় জনতা পার্টির প্রার্থীরা।
কার্যত বিরোধী শূন্য ওই রাজ্যে পরিবর্তনের ইঙ্গিত মিলতে থাকে উপনির্বাচনে। বিজেপিকে হারিয়ে দু’টি উপ নির্বাচন জেতে কংগ্রেস। ঘুরে দাঁড়ানোর ওই লড়াইয়ে রাজস্থান কংগ্রেসের মুখ হয়ে ওঠেন তরুণ নেতা সচিন পায়লট।
প্রায় ৪ কোটি ৭৭ লাখ ভোটারের মধ্যে ৭৪ শতাংশের বেশি মানুষ ভোট দিয়েছেন ৭ ডিসেম্বর। এ রাজ্যে ক্ষমতাসীন বিজেপির প্রধান প্রতিপক্ষ কংগ্রেস। বহুজন সমাজ পার্টি, সিপিএম, রাষ্ট্রীয় লোকদলের মতো একাধিক দল মিলিয়ে একটি তৃতীয় ফ্রন্টের অস্তিত্ব থাকলেও ভোটে তার নির্ণায়ক প্রভাব প্রায় নেই।
আরও পড়ুন: বিজেপির সমর্থন প্রস্তাব উড়িয়ে দিল টিআরএস
নির্বাচনের আগে হওয়া বিভিন্ন সমীক্ষা থেকে শুরু করে নির্বাচনের পর বুথ ফেরত সমীক্ষা, সব ক্ষেত্রেই এগিয়ে রাখা হয়েছে কংগ্রেসকে। ছত্তীসগঢ় এবং মধ্যপ্রদেশে বুথ ফেরত সমীক্ষাও স্পষ্ট ফলাফলের কোনও ইঙ্গিত দিতে পারেনি। সেই জায়গায় রাজস্থানের বুথ ফেরত সমীক্ষার ফলাফল অনেকটাই স্পষ্ট। সমীক্ষাতে পালা বদলের ইঙ্গিত দিয়ে বলা হয়েছে, বসুন্ধরা রাজে এ বার আর মসনদ ধরে রাখতে পারবেন না। সেই সমীক্ষার সঙ্গে বাস্তবের ফলাফলের কতটা মিল পাওয়া যায়, তা এ দিন বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে বোঝা যাবে।