দু’দিন আগেই মাও হামলা হয়েছে এই রাজ্যে। ছবি পিটিআই।
প্রথম দফার বিধানসভা ভোটের আগের দিন নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদী সংঘর্ষে রক্তাক্ত হল ছত্তীসগঢ়।
রবিবার বিজাপুর এবং কাঙ্কের দুই জেলায় মাওবাদীর সঙ্গে নিরাপত্তা বাহিনীর সংঘর্ষের খবর মিলেছে। বিজাপুরে নিরাপত্তা বাহিনীর সঙ্গে মাওবাদীদের গুলির লড়াই চলে। সংঘর্ষে এক মাওবাদী নেতার মৃত্যুর খবর পাওয়া গিয়েছে। উদ্ধার করা হয়েছে প্রচুর অস্ত্র। এক শীর্ষ মাওবাদী নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে বলেও স্থানীয় পুলিশ সূত্রে জানানো হয়েছে।
পাশাপাশি এ দিন সকালেই রায়পুর থেকে প্রায় ১৭৫ কিলোমিটার দূরে কাঙ্কের জেলায় মাওবাদী-বিএসএফ জওয়ানদের মধ্যে গুলির লড়াই চলে। এই লড়াইয়ে এক জন বিএসএফের এএসআই আহত হন।পরে তাঁর মৃত্যু হয়। এ দিন প্রথমে পর পর সাতটি আইইডি বিস্ফোরণ ঘটায় মাওবাদীরা। তার পরই পাল্টা জবাব দেয় জওয়ানরা।
আরও পড়ুন: মর্যাদা মেলেনি, অন্তাগড়ের বাঙালিরা জবাব দিতে প্রস্তুত
গত শুক্রবারই ছত্তীসগঢ়ে সিআইএসএফ-এর বাসে বিস্ফোরণ ঘটিয়ে এক জওয়ান-সহ পাঁচ জনকে হত্যা করেছিল মাওবাদীরা।
আরও পড়ুন: ছত্তীসগঢ়ে ভোটের আগেই ধাক্কা! দন্তেওয়াড়ায় বিস্ফোরণে বাস উড়িয়ে দিল মাওবাদীরা, নিহত ৫
১২ তারিখ এবং ২০ তারিখ দু’দফায় ভোটের ঘোষণা হয়েছে মাওবাদী অধ্যুষিত রাজ্যটিতে। প্রথম দফায় ভোট হবে বস্তারের ১৮টি কেন্দ্রে। দ্বিতীয় দফায় ৭২টি কেন্দ্রে। ভোট বয়কটের ডাক দিয়ে আগেই হামলার হুঁশিয়ারি দিয়েছিল মাওবাদীরা। অশান্ত এলাকাগুলিতে তাই নিরাপত্তা বাড়ানো হয়। তার পরেও ভোটের খবর সংগ্রহ করতে গিয়ে গত ৩০ অক্টোবর মাওবাদীদের হাতে মৃত্যু হয় তিন পুলিশ কর্মী ও দূরদর্শনের এক ক্যামেরাপার্সনের। তারও তিন দিন আগে বিজাপুর জেলায় সিআরপিএফ-এর একটি বুলেটপ্রুফ বাঙ্কার উড়িয়ে দেয় মাওবাদীরা। নিহত হন চার জওয়ান।
(ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদের দেশ বিভাগে।)