জিপের সামনে বিক্ষোভকারী যুবককে বেঁধে কাশ্মীর উপত্যকার অশান্ত এলাকায় সেনা কনভয় ঢুকিয়েছিলেন তিনি। উদ্ধার করেছিলেন তাঁর সহকর্মী, ভোটের কাজে নিযুক্ত ব্যক্তিদের। তা নিয়ে গোটা দেশে বিতর্ক ছড়ায়। তদন্তে নামে সেনাবাহিনীও।
‘ঘরের ছেলে’ মেজর লিতুল গগৈয়ের ভবিষ্যৎ নিয়ে তা-ই আশঙ্কায় ছিলেন ডিব্রুগড় জেলার ছোট্ট শহর নামরূপের বাসিন্দারা। শেষ পর্যন্ত সেই কাজের জন্য সেনাপ্রধান বিপিন রাওয়তের কাছ থেকে পুরস্কার পাওয়ায় উচ্ছ্বাস ছড়াল নামরূপে। লিতুলের মা-বাবাকে সংবর্ধনা দিলেন স্থানীয় সাংসদ রামেশ্বর তেলি।
৯ এপ্রিল কাশ্মীরের বদগামে জিপের সামনে ফারুক আহমেদ দার নামে যুবককে বেঁধে সহকর্মী ও নির্বাচনকর্মীদের জনরোষ থেকে উদ্ধার করেন মেজর গগৈ। দেশ জুড়ে তা নিয়ে বিতর্ক ছড়ায়। উৎকণ্ঠায় ছিল গগৈ পরিবার। লিতুলের বাবা ধর্মেশ্বর গগৈ অসুস্থ হয়ে পড়েন। সেনাবাহিনীর তরফে বার বার অনুরোধ করা হয়, গগৈ পরিবারকে সামনে না আনার জন্য। শেষ পর্যন্ত অভিযোগ থেকে মুক্তি পান তিনি। সম্প্রতি সেনাপ্রধানের কাছ থেকে শংসাপত্রও পান।
মঙ্গলবার রাতে রামেশ্বরবাবু মেজর গগৈয়ের বাড়িতে গিয়ে তাঁর বাবা-মাকে সংবর্ধনা দেন। মা স্বর্ণলতা দেবী জানান, ছেলে উপস্থিত বুদ্ধির পরিচয় দিয়ে কাজ করেছে। সে জন্য তাঁরা গর্বিত। কিন্তু এটা তাঁর কর্তব্য। তাই উৎসবের দরকার নেই। ধর্মেশ্বরবাবু জানান, ছেলের জন্য গর্বের পাশাপাশি তাঁর নিরাপত্তা নিয়েও চিন্তিত। সাংসদ তাঁদের আশ্বাস দেন, তাঁদের নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কার প্রয়োজন নেই। অসমের মুখ্যমন্ত্রী সর্বানন্দ সোনোয়ালও বলেন, ‘‘লিতুল গগৈয়ের জন্য গর্বিত।’’