এই রায়কে ঘিরে যাতে কোনও রকম অপ্রীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি না হয় সে জন্য সমস্ত রাজ্যগুলোকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
অযোধ্যা মামলার শুনানির দিন স্থির করে দিলেন সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। আগামী ১০ জানুয়ারি থেকে শুনানি শুরু হবে। শুনানি হবে তিন সদস্যের নতুন বেঞ্চে। শুক্রবার মামলাটি আদালতে ওঠে। মাত্র ৬০ সেকেন্ডের শুনানিতে এমনটাই জানিয়ে দেন প্রধান বিচারপতি। এই তিন সদস্যের বেঞ্চই স্থির করবে পরবর্তী শুনানির দিনগুলি এবং এই মামলা সংক্রান্ত বিভিন্ন বিষয়। ফলে ১০ জানুয়ারির দিকেই এখন তাকিয়ে বিজেপি-সহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল।
গত বছরের অক্টোবরে অযোধ্যা মামলা শীর্ষ আদালতে ওঠে। তখন উত্তরপ্রদেশ সরকার-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন জরুরি ভিত্তিতে মামলাটির শুনানির জন্য আবেদন করে সুপ্রিম কোর্টে। তবে সে দিন সুপ্রিম কোর্ট স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিল, জরুরি ভিত্তিতে নয়,পরবর্তী শুনানির কবে সেই বিষয়টি স্থির করা হবে ২০১৯-এর ৪ জানুয়ারি। মামলাটি প্রধান বিচারপতির বেঞ্চে হবে নাকি নতুন বেঞ্চ গঠন করে মামলার দেখভাল করা হবে সে বিষয়টিও স্পষ্ট ভাবে কোনও ইঙ্গিত ছিল না। ফলে এ নিয়ে জল্পনা একটা চলছিলই। তবে এ দিন প্রধান বিচারপতি জানিয়ে দেন নতুন বেঞ্চেই অযোধ্যা মামলার শুনানি হবে।
রাম মন্দির নিয়ে ক্রমশ চাপ বাড়ছে প্রধানমন্ত্রী মোদীর উপর। আরএসএস, শিবসেনা-সহ বিভিন্ন হিন্দুত্ববাদী সংগঠন এবং সাধু-সন্তরাও রাম মন্দির নিয়ে মোদীকে কার্যত চাপে রেখে দিয়েছে। হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি রাম মন্দির গড়া নিয়ে প্রবল ভাবে সরব হচ্ছে। সুপ্রিম কোর্টে সুরাহা না মিললে বিকল্প কী আইনি রাস্তা আছে তা নিয়েও সরকারের উপর চাপ বাড়াচ্ছে। সামনেই লোকসভা নির্বাচন, তাই বিজেপি-সহ হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি চাইছে মামলাটির দ্রুত নিষ্পত্তি হোক। প্রধানমন্ত্রী কী বলেন সে দিকেও তাকিয়ে ছিল সবাই। রাম মন্দির নিয়ে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো সরব হলেও মোদী কিন্তু এ বিষয়ে খুব একটা কিছু বলেননি। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলেছেন, ঘরের অন্দরে চাপ বাড়ছে দেখে এবং সামনে ভোটের কথা মাথায় রেখেই মোদী আর চুপ থাকতে পারেননি। সম্প্রতি এক সাক্ষাত্কারে তিনি জানিয়েছেন, সরকার আইনি সমাধানের জন্যই অপেক্ষা করছে। মামলাটি এখন বিচারবিভাগের অধীনে। এই পদ্ধতি শেষ হলে সরকারেরযা কর্তব্য সেটাই করবে। পাশাপাশি তাঁর অভিযোগ,এ বিষয়ে আইনি পদ্ধতিকে দেরি করিয়ে দিচ্ছেকংগ্রেস।
আরও পড়ুন: বকেয়া ডিএ চলতি মাসেই, বললেন মুখ্যমন্ত্রী, প্রতারণামূলক ঘোষণা, বলছে কর্মী সংগঠনগুলি
আরও পড়ুন: পরীক্ষায় বসলেন না মোদী, রাফাল নিয়ে কটাক্ষ রাহুলের, বিঁধলেন জেটলিকেও
রাম মন্দির নিয়ে মোদী যখন সুপ্রিম কোর্টের রায়ের জন্য অপেক্ষা করছেন, ঠিক তার উল্টো পথে হেঁটে শিবসেনা, বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলো এ বিষয়ে অধ্যাদেশ আনার জন্য জোর আওয়াজ তুলছে। রাম মন্দির না বাবরি মসজিদ— অযোধ্যা মামলা কোন পথে এগোবে সেটা ধীরে ধীরে স্পষ্ট হবে ১০ জানুয়ারি থেকে পরবর্তী শুনানিগুলো থেকেই।
(কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী, গুজরাত থেকে মণিপুর - দেশের সব রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ খবর জানতে আমাদেরদেশবিভাগে ক্লিক করুন।)