Ayodhya

মধ্যস্থতা ব্যর্থ, অযোধ্যা মামলার শুনানি ৬ অগস্ট থেকে

১৫২৮-’২৯ সালের মধ্যে তৈরি বাবরি মসজিদ যেখানে অবস্থিত, অযোধ্যার সেই জায়গায় আগে হিন্দু মন্দির ছিল এবং সেটি ভেঙেই মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয় বলে বহু দিন ধরে দাবি করে আসছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০২ অগস্ট ২০১৯ ১৭:৫৬
Share:

—ফাইল চিত্র।

অযোধ্যার বিতর্কিত জমি নিয়ে সমাধান সূত্রে পৌঁছতে পারল না মধ্যস্থতা কমিটিও। তাই বিষয়টি নিয়ে ৬ অগস্ট থেকে একটানা শুনানি হবে। শুক্রবার অযোধ্যা নিয়ে মধ্যস্থতা কমিটির রিপোর্ট নিয়ে ছ’মিনিটের শুনানি হয় সুপ্রিম কোর্টে। সেখানেই এ কথা জানান প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ। তিনি বলেন, ‘‘মধ্যস্থতাতেও কোনও সমাধান বার করা সম্ভব হয়নি’’

Advertisement

২০১০ সালে অযোধ্যা মামলা শুনানিতে ইলাহাবাদ হাইকোর্ট যে রায় দেয়, তাতে ২.৭৭ একরের ওই জমি হিন্দু মহাসভার রাম লাল্লা সংগঠন, সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড এবং নিমরোহি আখড়া সম্প্রদায়ের মধ্যে তিন ভাগে ভাগ করে দিতে বলা হয়। কিন্তু আদালতের সেই রায়ের বিরুদ্ধে একাধিক আবেদন জমা পড়ে।

সেই নিয়ে গত ৮ মার্চ, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি এফএম ইব্রাহিম কলিফুল্লার নেতৃত্বে, আধ্যাত্মিক গুরু রবিশঙ্কর এবং আইনজীবী শ্রীরাম পঞ্চুকে নিয়ে তিন সদস্যের বিশেষ মধ্যস্থতাকারী কমিটি গঠন করে সুপ্রিম কোর্ট। সব পক্ষের সঙ্গে আলাপ আলোচনার মাধ্যমে সমাধান খুঁজে বার করতে বলা হয় তাঁদের।

Advertisement

আরও পড়ুন: কাশ্মীরে স্থল ও বায়ুসেনাকে সতর্ক করল কেন্দ্র, সেনা তত্পরতা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ ওমরের​

আলাপ আলোচনা কতদূর এগিয়েছে, গত ১১ জুলাই তা ওই কমিটির কাছে জানতে চায় প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ, এসএ বোবদে, ডিওয়াই চন্দ্রচূড়, অশোক ভূষণ এবং আব্দুল নাজিরের সাংবিধানিক বেঞ্চ। মধ্যস্থতার প্রয়োজন না থাকলে ২৫ জুলাই থেকে মামলা শুরু করা যেতে পারে বলে জানানো হয়। ১৮ জুলাই অবশ্য বাড়তি সময় দেওয়া হয় ওই কমিটিকে। ১৫ অগস্টের মধ্যে রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়। কিন্তু গোপাল সিংহ বিশারদ নামের এক মামলাকারীর ছেলে রাজেন্দ্র সিংহ মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া রদ করার আবেদন জানালে আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, মধ্যস্থতা প্রক্রিয়া চলানো উচিত কি না, তা আদালতই ঠিক করবে।

এর পরই বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রি দফতরে অযোধ্যা মামলার রিপোর্ট জমা দেয় মধ্যস্থতাকারী ওই কমিটি। তাতেই মীমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে বলে জানায় তারা।

আরও পড়ুন: ঠান্ডা যুদ্ধের দিন ফিরছে? ভেঙে গেল ৩২ বছরের পুরনো রুশ-মার্কিন চুক্তি​

১৫২৮-’২৯ সালের মধ্যে তৈরি বাবরি মসজিদ যেখানে অবস্থিত, অযোধ্যার সেই জায়গায় আগে হিন্দু মন্দির ছিল এবং সেটি ভেঙেই মুঘল সম্রাট বাবরের নির্দেশে সেখানে মসজিদ তৈরি করা হয় বলে বহু দিন ধরে দাবি করে আসছে হিন্দুত্ববাদী সংগঠনগুলি। ১৯৯২ সালে দলবল নিয়ে গিয়ে বাবরি মসজিদ ভেঙে দেয় তারা, যাকে ঘিরে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা শুরু হলে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দু’হাজারের বেশি মানুষ প্রাণ হারান।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন