বাবা রামদেব।—ফাইল চিত্র।
এক সময় রামমন্দিরকে হাতিয়ার করে ক্ষমতায় আসা। এখন সেই রামমন্দির-ই গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। মন্দিরকে সামনে রেখে ইতিমধ্যেই তাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছে শিবসেনা। সঙ্ঘ এবং বিশ্ব হিন্দু পরিষদের মতো সংগঠনগুলিও চাপ সৃষ্টি করে চলেছে। এ বার সেই তালিকায় জুড়ে গেলেন যোগগুরু বাবা রামদেবের নামও। ২০১৪-র নির্বাচনে দেশজুড়ে ‘মোদী লেহর’ তোলায় সবচেয়ে বড় ভূমিকা ছিল তাঁর। নোটবন্দী হোক বা সার্জিক্যাল স্ট্রাইক এতদিন নরেন্দ্র মোদীর গুণগান গাইতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। কিন্তু ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনের আগে মন্দির নিয়ে এ বার সেই তিনি-ই উল্টো পথে হাঁটছেন। সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, যত শীঘ্র সম্ভব অযোধ্যায় মন্দির গড়তে হবে। নইলে মোদী সরকারের উপর আস্থা হারাবেন মানুষ। দেশজুড়ে শুরু হতে পারে গৃহযুদ্ধও।
রবিবার গুজরাতের আমদাবাদে গিয়েছিলেন তিনি। সেখানেই এমন মন্তব্য করেন। রামদেব বলেন, ‘‘ভগবান রাম কোনও রাজনৈতিক হাতিয়ার নন। বরং গোটা দেশের গর্ব। আমাদের পূর্বপুরুষ তিনি। দেশের সংস্কৃতি ও মানুষের রন্ধ্রে রন্ধ্রে তাঁর বাস। কোটি কোটি মানুষ অযোধ্যায় তাঁর মন্দিরের নির্মাণ দেখতে চান। শীঘ্রই তা করে দেখাতে হবে মোদী সরকারকে। নইলে তাদের উপর আস্থা হারাবেন সাধারণ মানুষ।’’ চাইলে মোদী সরকারের পক্ষে মন্দির নির্মাণ করা একেবারেই অসম্ভব নয় বলে দাবি রামদেবের। এ ব্যাপারে শিবসেনার যুক্তি দেখিয়েছেন তিনি। তাঁর কথায়, ‘‘গণতান্ত্রিক দেশে সংসদই সর্বোচ্চ আদালত। সেখানে ক্ষমতায় রয়েছে নরেন্দ্র মোদীর সরকার। আবার উত্তরপ্রদেশও বিজেপির দখলে। এখন না হলে আর কবে হবে মন্দিরের নির্মাণ? চাইলে রাম মন্দির নিয়ে যে কোনও মুহূর্তে অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারে তারা।’’
রামমন্দির নির্মাণের দাবি নিয়ে গত সপ্তাহেই অযোধ্যায় বিরাট জনসভা করে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ। তাতে সামিল হয়েছিলেন হাজার হাজার ‘রাম ভক্ত।’ সেই একই সময় সেখানে সভা করেন শিবসেনা প্রধান উদ্ধব ঠাকরে। তাঁর সভা ঘিরে হইচই কম হলেও, যোগীর রাজ্যে দাঁড়িয়েই কড়া ভাষায় বিজেপিকে আক্রমণ করেন তিনি। অজুহাত না দিয়ে মোদী সরকারকে এ বার সত্যি সত্যি মন্দির গড়তে উদ্যোগী হতে বলেন তিনি। ‘আগে মন্দির পরে ভোট’ বলে স্লোগানও দেন।
আরও পড়ুন: কেজি প্রতি দেড় টাকারও কম! ৭৫০ কেজি পেঁয়াজ বিক্রির ১০৬৪ টাকা মোদীকে পাঠিয়ে প্রতিবাদ চাষির
আরও পড়ুন: রজতকে আমি খুন করিনি, আদালত চত্বরে বললেন অনিন্দিতা