Babri Masjid Demolition

বাবরি ধ্বংস মামলায় অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রে অভিযুক্ত আডবাণীরা

গত ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী উমা ভারতী-সহ বিভিন্ন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা শুরু করার অনুমতি দেয় সিবিআইকে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ৩০ মে ২০১৭ ১৪:১১
Share:

—প্রতীকী ছবি।

বাবরি মসজিদ মামলায় লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতীদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক ষড়যন্ত্রের অভিযোগে চার্জ গঠিত হল। মঙ্গলবার লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে হাজির হয়েছিলেন আডবাণীরা। তাঁদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ১২০বি ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে। বিজেপি-র এই তিন প্রবীণ নেতা-নেত্রী-সহ বাবরি মামলার আরও বেশ কয়েক জন অভিযুক্তকে এ দিন হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিল ওই আদালত। নির্দেশ অনুযায়ী আডবাণী, যোশী, উমারা আদালতে হাজিরও হয়েছিলেন। এ দিন আদালত চত্বরে গিয়ে আডবাণীর সঙ্গে দেখা করেন উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। আডবাণীরা অবশ্য এ দিন জামিন পেয়েছেন।

Advertisement

চলতি বছরের ১৯ এপ্রিল সুপ্রিম কোর্ট লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী-সহ অন্যান্য অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রের মামলা শুরু করার অনুমতি দেয় সিবিআইকে। রায়বরেলী এবং লখনউয়ের আদালতকে দু’বছরের মধ্যে এই মামলার নিষ্পত্তি করার নির্দেশও দেয় বিচারপতি পি সি ঘোষ এবং বিচারপতি আর এফ নরিম্যান-এর বেঞ্চ। আদালতে যাতে তাঁদের ব্যক্তিগত ভাবে হাজিরা দিতে না হয়, সে জন্য আবেদন করেছিলেন আডবাণী এবং কেন্দ্রীয় জলসম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রী উমা ভারতী। কিন্তু সে আবেদনে আদালত সাড়া দেয়নি। তাই এ দিন আদালতে হাজিরা দেন শীর্ষ বিজেপি নেতারা।

১৯৯২ সাল। বাবরি মসজিদ ধ্বংসের পর গ্রেফতার করা হচ্ছে লালকৃষ্ণ আডবাণীকে। মঙ্গলবার নতুন করে চার্জ গঠন হল এই মামলায়। তবে এ দিন আডবাণীকে জামিন দেওয়া হয়েছে। —ফাইল চিত্র।

Advertisement

আডবাণীর সঙ্গে দেখা করতে এ দিন আদালত চত্বরে হাজির হন খোদ উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। দলের প্রবীণ নেতার সঙ্গে উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রীর বেশ কিছু ক্ষণ কথাও হয়। নতুন করে বাবরি মামলার বিচার শুরু হওয়া নিয়ে আডবাণী বা যোশী এ দিন কোনও মন্তব্য করতে চাননি। তবে কেন্দ্রীয় জলসম্পদ মন্ত্রী উমা ভারতী বলেছেন, ‘‘আমি কোনও অন্যায় কাজ করিনি। কোনও রকম বিচারের মুখোমুখি হতে আমি ভয় পাই না। আইন আইনের কাজ করুক। কোনটা ঠিক, কোনটা ভুল, সব প্রমাণিত হয়ে যাবে।’’

লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলী মনোহর যোশী, উমা ভারতী, বিনয় কাটিয়ারদের মতো প্রবীণ বিজেপি নেতা কল্যাণ সিংহও এই মামলায় অন্যতম অভিযুক্ত। কিন্তু তিনি এখন রাজস্থানের রাজ্যপাল পদে রয়েছেন, তাই আপাতত তাঁকে মামলার বাইরে রাখা হয়েছে। রাজ্যপালের দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি নেওয়ার পরেই তাঁর বিরুদ্ধে এই মামলার প্রক্রিয়া শুরু হবে। নিম্ন আদালতগুলিকে প্রতি দিন এ বিষয়ে শুনানি চালু রাখতে হবে। পাশাপাশি, যে সব বিচারকরা এই মামলার সঙ্গে যুক্ত, নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত কোনও ভাবেই তাঁদের বদলি করা যাবে না বলেও নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন