শিশু বিক্রির অভিযোগে অভিযুক্ত মিশনারিজ অফ চ্যারিটির রাঁচীর নির্মল হৃদয়ের সিস্টার কনসিলিয়ার ‘স্বীকারোক্তি’ ফাঁস হয়ে গেল। প্রশ্ন উঠেছে, পুলিশের কাছে দেওয়া ওই জবানবন্দি ফাঁস হয়ে গেল নাকি ফাঁস করা হল? আঙুল উঠেছে ঝাড়খণ্ড পুলিশের বিরুদ্ধে। যদিও ভিডিয়ো কী ভাবে ফাঁস হল তা জানেন না বলেই দাবি রাজ্যের এডিজি (অপারেশন) আর কে মালিক। তিনি বলেন, ‘‘ভিডিয়োটি আমি দেখিনি। কী ভাবে কী ফাঁস হল আমরা সে বিষয়ে কিছু জানি না।’’
এই সংগঠনের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ ‘তোলায়’ দেশ ও বিদেশ থেকে প্রতিবাদ হচ্ছে। কাঠগড়ায় ঝাড়খণ্ড পুলিশ ও রাজ্যের বিজেপি সরকার। মুখ খুলেছে চার্চও। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের ধারণা, চাপের মুখেই এই ‘স্বীকারোক্তি’র ভিডিয়ো ক্লিপিংস ফাঁস করানো হয়েছে। দেখা যাচ্ছে, ধৃত সিস্টার কনসিলিয়া পুলিশি জেরায় স্বীকার করছেন, তাঁরা মোট তিনটি বাচ্চা বিক্রি করেছেন। পুলিশ এখন অধিকাংশ জিজ্ঞাসাবাদের রেকর্ড করিয়ে রাখে। বিরোধীদের অভিযোগ, সেই তথ্য ফাঁসের দায় সরকার ও পুলিশকেই নিতে হবে। ঝাড়খণ্ডের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বাবুলাল মারান্ডির অভিযোগ, ‘‘সরকার নির্মল হৃদয়কে কালিমালিপ্ত করতেই ব্যস্ত। তদন্তে প্রকৃত সত্য বার করতে হবে।’’
শনিবার রাঁচীর এসএসপি অনীশ গুপ্ত বলেন, ‘‘যে চার শিশুকে বিক্রির অভিযোগ উঠেছিল, তার মধ্যে তিনটি শিশুকে উদ্ধার করা হয়েছে।’’