উত্তর কাশ্মীরে নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে মৃত্যু হয়েছে বাগু খানের। —ফাইল চিত্র।
কাশ্মীরে বড় সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। গুরেজ় উপত্যকায় গুলির লড়াইয়ে আরও দু’জন জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে। তাদের মধ্যে বাগু খান জঙ্গিদের ‘সমন্দর চাচা’ হিসাবেও পরিচিত। কাশ্মীরে জঙ্গিদের অনুপ্রবেশে সাহায্য করত সে। তার মৃত্যুকে সেনার বিশেষ সাফল্য হিসাবে দেখা হচ্ছে।
কাশ্মীরে ‘হিউম্যান জিপিএস’ বা ‘মানবরূপী জিপিএস’ বলা হত বাগুকে। ১৯৯৫ সাল থেকে সে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে ছিল। জঙ্গিরা তাকে ‘সমন্দর চাচা’ বলেও ডাকত। গুরেজ় উপত্যকার নৌসেরা নার এলাকায় শনিবার জঙ্গিদের সঙ্গে গুলির লড়াই হয় নিরাপত্তাবাহিনীর। সেই সময়েই বাগু এবং আরও এক জঙ্গির মৃত্যু হয়েছে বলে খবর।
জঙ্গি বাগু একসময় পাকিস্তানি জঙ্গিগোষ্ঠী হিজ়বুল মুজাহিদিনের সঙ্গে যুক্ত ছিল। উপত্যকাকে সে চিনত হাতের তালুর মতো। কোথায় কোন দুর্গম পাহাড়ি জঙ্গলে ভারতে অনুপ্রবেশের গোপন পথ রয়েছে, তা ছিল বাগুর নখদর্পণে। সেই কারণে শুধু হিজ়বুল নয়, সকল জঙ্গি সংগঠনের কাছে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছিল বাগু। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের পরিকল্পনা থাকলেই তার ডাক পড়ত। নিরাপত্তাবাহিনী সূত্রে খবর, গত কয়েক বছরে গুরেজ় এলাকা দিয়ে ১০০-র বেশি অনুপ্রবেশে সে সাহায্য করেছে। তার অধিকাংশ সফল হয়েছে।
বহু বছর ধরে বাগুকে খুঁজছিল ভারতের নিরাপত্তাবাহিনী। গত বৃহস্পতিবার গুরেজ়ে নিয়ন্ত্রণরেখা সংলগ্ন এলাকা দিয়ে ভারতে প্রবেশের চেষ্টা করেছিল আরও দুই জঙ্গি। সেনার গুলিতে তাদের মৃত্যু হয়। এর পরেই আরও এক বার গুরেজ়ে অভিযান চালানো হল। তাতেই বাগুর মৃত্যু হয়েছে। অভিযোগ, সে-ও অনুপ্রবেশের চেষ্টা করছিল।