নীতি-পুলিশের ভূমিকায় বজরং বাহিনী

ভ্যালেন্টাইন দিবসে প্রেমের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই বজরং দল সদস্যরাই। হোটেল-রেস্তোঁরা-সিনেমা হলে নীতি-পুলিশের ভূমিকায় নেমে বজরং-সদস্যরা দিনভর অভিযান চালালো। আর প্রকৃত পুলিশরা রইল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ঘুরল তাদেরই পিছু পিছু।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

করিমগঞ্জ শেষ আপডেট: ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১৭ ০১:৫৬
Share:

ভ্যালেন্টাইন দিবসে প্রেমের কাঁটা হয়ে দাঁড়াল সেই বজরং দল সদস্যরাই। হোটেল-রেস্তোঁরা-সিনেমা হলে নীতি-পুলিশের ভূমিকায় নেমে বজরং-সদস্যরা দিনভর অভিযান চালালো। আর প্রকৃত পুলিশরা রইল নীরব দর্শকের ভূমিকায়। ঘুরল তাদেরই পিছু পিছু। পুলিশের সামনেই তারা হুমকি দিয়ে বেড়াল শহর জুড়ে।

Advertisement

ভ্যালেন্টাইন ডে কিংবা প্রেম দিবস, ভারতীয় সংস্কৃতি নয়। পশ্চিমি সংস্কৃতি ভারতে প্রবেশ করে দেশের সভ্যতাকে নষ্ট করে দিচ্ছে। তাদের চিরাচরিত এই বক্তব্য তুলে করিমগঞ্জের বজরং সদস্যরা মাথায় পাগড়ি বেধে প্রেমে বাধা দিতে বেরিয়ে পড়ে। শহরের পেট্রোল পাম্প এলাকা থেকে ১৫-২০টি বাইক নিয়ে সদস্যরা শহরের বিভিন্ন হোটেল-রেস্তোঁরায় হানা দেয়। তারা কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়, আজ যেন ‘প্রেমিক যুগল’-দের রেস্তোঁরায় কিংবা হোটেলে বসতে দেওয়া না হয়। অন্যথায় পরিস্থিতি ‘খারাপ’ হবে বলেও হুমকি দেয় তারা।

বজরং সদস্যদের বাইক অভিযানের সঙ্গে ছিল পুলিশ। বছর দুয়েক আগে ‘ভ্যালেন্টাইনস ডে’-তে বাধা দিতে গিয়ে প্রতিরোধের মুখে পড়ে করিমগঞ্জের আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি হওয়ার উপক্রম হয়েছিল। এ বার যাতে তেমন না হয়, তাই পুলিশ ছিল ‘সক্রিয়’। বজরং সদস্যরা সিনেমা হল কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দেয়, আজ প্রেমিক-প্রেমিকাদের যেন হলে ঢুকতে দেওয়া না হয়। বজরং সদস্যরা যখন একটির পর একটি হোটেল-রেস্তোঁরায় হানা দিচ্ছিল তখন অবশ্য সেখানে কোন ছেলে-মেয়ে ছিল না। একটি সূত্রে জানা গিয়েছে, গত কাল করিমগঞ্জের পুলিশ হোটেল ও রেস্তোঁরা মালিকদের আগাম ‘সতর্কতা’ দিয়েই রেখেছিল। করিমগঞ্জ শহর পুলিশের এক অফিসার, বিপ্লব নাথও সে কথা স্বীকার করেছেন।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন