মেয়ে হলে এ কী খুশি!

পরম্পরা সূত্রে এই সম্প্রদায়ের মহিলারা দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই কন্যা জন্মালে আরও এক জন রোজগেরে বাড়ে সংসারে। উল্লাসে মেতে ওঠা ঠিক সেই কারণেই।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২০ মার্চ ২০১৮ ০২:২৭
Share:

প্রতীকী ছবি।

যেখানে আজও দেশের বেশির ভাগ অঞ্চলে কন্যা সন্তান জন্মালে হতাশ হয় পরিবার, সেখানে মধ্যপ্রদেশের বাঞ্ছদা সম্প্রদায়ের ক্ষেত্রে ঘটনাটি ঠিক উল্টো। মেয়ে জন্মালেই বরং উৎসবে মেতে ওঠে এখানকার এই সম্প্রদায়ের মানুষজন। অবশ্য এর পিছনের কারণটি শুনলে আঁতকে উঠতে হয়।

Advertisement

পরম্পরা সূত্রে এই সম্প্রদায়ের মহিলারা দেহব্যবসার সঙ্গে যুক্ত। তাই কন্যা জন্মালে আরও এক জন রোজগেরে বাড়ে সংসারে। উল্লাসে মেতে ওঠা ঠিক সেই কারণেই। মেয়েটি যত বড় হয়, তাঁর পরিবারই তাঁকে আস্তে আস্তে এই পেশার জন্য তালিম দিতে থাকে। মূলত মধ্যপ্রদেশের রতলাম, মাণ্ডসৌর আর নিমাছ অঞ্চলেই বাস এই সম্প্রদায়ের।

সংসার চালানোর জন্য বংশ পরম্পরায় মেয়েরা চলে আসছেন এই পেশায়। পরিবারের পুরুষরা, বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই এই নারীদের উপার্জনের উপরই নির্ভরশীল থাকেন।

Advertisement

জনগণনার রিপোর্ট বলছে, তিনটি জেলা জুড়ে মোট ৭৫টি গ্রামে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে এই সম্প্রদায়। এর মধ্যে মহিলাদের সংখ্যা ৬৫%। সূত্রের খবর, পরিবারের আয় বাড়াতে, অন্যান্য এলাকা থেকে রীতিমত স্ট্যাম্প পেপারে সই করে শিশুকন্যা কেনার ঘটনাও এখানে পরিচিত ব্যাপার। সমাজকর্মীরা বলছেন, শিশু পাচার এবং দেহব্যবসার মতো অসামাজিক কাজে ইতি টানতে পুলিশি তৎপরতা বাড়লেও, কাজ হচ্ছে না। প্রশাসনের দাবি, এর একমাত্র উপায় হল সামাজিক সচেতনতা বাড়ানো। সে পথেই এখন হাঁটছে প্রশাসন।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement