কওসরকে হাতে চায় বাংলাদেশ

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ীই জেএমবি-র জঙ্গি কওসরকে পেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি সরকারি ভাবে শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

দিবাকর রায়

পটনা শেষ আপডেট: ৩০ অগস্ট ২০১৮ ০৩:২৬
Share:

বোমা মিজান। নিজস্ব চিত্র।

বুদ্ধগয়া এবং খাগড়াগড় কাণ্ডে প্রধান অভিযুক্ত কওসর আলি ওরফে বোমা মিজানকে নিজেদের হাতে পেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার।

Advertisement

সূত্রের খবর, বিদেশ মন্ত্রকের কাছে এ নিয়ে আবেদন জানিয়েছে সে দেশের সরকার। সেই আবেদনের কথা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক হয়ে পৌঁছেছে জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)-র কাছেও। তবে এখনই বাংলাদেশের হাতে কওসরকে তুলে দিতে চাইছে না এনআইএ। কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য জানার চেষ্টা ছাড়াও তারা চাইছে, এ দেশের বিচারপর্ব আগে শেষ হোক। তবে নিতান্তই প্রয়োজন হলে বাংলাদেশের গোয়েন্দারা এখানে এসে কওসরকে জেরা করার অনুমতি পাবেন বলে জানা গিয়েছে।

ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে প্রত্যর্পণ চুক্তি রয়েছে। সেই চুক্তি অনুযায়ীই জেএমবি-র জঙ্গি কওসরকে পেতে চাইছে বাংলাদেশ সরকার। তবে গোটা প্রক্রিয়াটি সরকারি ভাবে শুরু হতে বেশ কিছুটা সময় লেগে যাবে বলেও জানা গিয়েছে।

Advertisement

গত ৬ অগস্ট বেঙ্গালুরুতে গ্রেফতার হওয়ার পরে পটনায় এনআইএ হেফাজতে রয়েছে কওসর। বাংলাদেশে ১৮টি বিস্ফোরণ ও নাশকতার ঘটনায় অভিযুক্ত সে। ২০১৪ সালের ২৩ ফেব্রুয়ারি ময়মনসিংহের ত্রিশলায় পুলিশের প্রিজন ভ্যান থেকে সংগঠনের মাথা সালাউদ্দিন সালেহিন এবং রকিবুল হাসান ওরফে হাফেজের সঙ্গে পালায় সে। তার পর থেকেই বাংলাদেশ পুলিশ খুঁজছে তাকে। তার নামে ইন্টারপোলের রেড কর্নার নোটিসও জারি করা হয়।

গোয়েন্দাদের মতে, কওসরকে জেরা করে জেএমবির নতুন নেটওয়ার্কের খোঁজ পাওয়া যাবে বলে মনে করছেন সে দেশের গোয়েন্দারা। ২০০১ সালে জেএমবি শুরু হওয়ার সময় থেকেই সংগঠনের সঙ্গে
রয়েছে সে। প্রথমে সাধারণ সদস্য হিসেবে জেএমবি-তে যোগ দিয়ে
পরে সে সংগঠনের বিস্ফোরক বিভাগের দায়িত্ব পেয়েছিল। ২০০৫ সালে তার তৈরি বোমাতেই সারা দেশে জেএমবি হামলা চালিয়েছিল বলে অভিযোগ। সেই হামলার কয়েকটি মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয় সে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন