National News

নকল আধারে মাদ্রাসায় বিদেশিরা

ভারতে ধৃত তরুণদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এরা নকল আধার কার্ড বানিয়ে তার ভিত্তিতে ভারতের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালাচ্ছে। বিষয়টি রীতিমতো ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। এরা বাংলাদেশি নাকি পাকিস্তানের, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৪ মে ২০১৮ ০৪:৩৯
Share:

সংখ্যায় তারা ৩৩ জন। এদের ২৪ জন ঢুকেছিল বাংলাদেশ থেকে। বিনা পাসপোর্টে। ধরা পড়ে যায় আগরতলা স্টশনে। বাকি ৯ জন ধরা পড়েছে ও পারে। পাসপোর্ট ছিল না তাদের কাছেও। সকলেরই বয়স ১৯ থেকে ২৬-এর মধ্যে। ভারতে ধৃত তরুণদের জেরা করে জানা গিয়েছে, এরা নকল আধার কার্ড বানিয়ে তার ভিত্তিতে ভারতের মাদ্রাসায় ভর্তি হয়ে পড়াশোনা চালাচ্ছে। বিষয়টি রীতিমতো ভাবাচ্ছে প্রশাসনকে। এরা বাংলাদেশি নাকি পাকিস্তানের, তা নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। একই দিনে, গত বৃহস্পতিবার বিনা পাসপোর্টে বাংলাদেশে ঢুকে ৯ জন ধরা পড়ে বিজিবি-র হাতে। বাংলাদেশ পুলিশ জানাচ্ছে, ওই তরুণদের বাড়ি সে দশেই। তবে দিল্লির দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়ে বলে দাবি করেছে।

Advertisement

ত্রিপুরা জিআরপির ভারপ্রাপ্ত এসপি পিনাকী সামন্তের কথায়, ‘‘কী ভাবে এ সব সম্ভব হচ্ছে, সেটা দেখার বিষয়।’’ গত কাল থেকে দফায় দফায় এ পারে ধৃত তরুণদের জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন বিভিন্ন কেন্দ্রীয় সংস্থার গোয়েন্দারা। এসেছেন এনআইএর লোকজনও। এখন পর্যন্ত জেরা করে জানা গিয়েছে, মাদ্রাসায় ভর্তি হতে এরা নকল আধার কার্ড ব্যবহার করেছে। পিনাকী বলেন, ‘‘এটা খুবই চিন্তার বিষয়। কী ভাবে এরা এই আধার কার্ড করিয়েছে এবং কারা এর সঙ্গে জড়িত, সেটাই প্রশ্ন। এর সঙ্গে আন্তর্জাতিক চক্রও থাকতে পারে| আমরা এদের বাংলাদেশি ভেবে নরম হতে পারি, কিন্তু এরা তো পাকিস্তানিও হতে পারে! যারা নিজেদের পরিচয় ভাঁড়িয়ে এত দিন ধরে ভারতের মাদ্রাসায় পড়াশোনা করছে, তারা অনেক কিছুই করতে পারে|’’ ধরা পড়েছে ৩৩ জন। কিন্তু এমন আরও কত রয়েছে, সেটাও দেখা দরকার এবং ভারতের মাদ্রাসাই বা ওই সব আধার কার্ড যাচাই না করে কেন তাদের ভর্তি করেছে, সেটাও সন্দেহের বিষয় বলে মন্তব্য করেন পিনাকী।

বাংলাদেশে ধরা পড়া ন’জনকে বিজিবি আখাউড়া থানায় দিয়ে এসেছিল। আজ আখাউড়া থানার আধিকারিক মোশারফ হোসেন তরফদার জানান, গত ১০ মে কর্নেল বাজারের কাছ দিয়ে আসার সময় ন’জন বাংলাদেশি ধরা পরে। তারা সবাই দিল্লির দেওবন্দ মাদ্রাসায় পড়াশোনা করে বলে দাবি করেছে। তদন্তে জানা গিয়েছে, এরা ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কুমিল্লা, মাদারিপুর ও শরিয়তপুর জেলার বাসিন্দা। সকলের বয়স ১৯ থেকে ২৬ বছরের মধ্যে। মোশারফ হোসেন জানিয়েছেন, ওই ন’জনকে জেলহাজতে রাখা হয়েছে।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন