সাংবাদিক বৈঠকে আবগারি মন্ত্রী কে বাবু। শনিবার কোচিতে। ছবি: পিটিআই।
মাস দুয়েকের ব্যবধান। দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করলেন কংগ্রেসের আর এক মন্ত্রী।
৭৩০টি পানশালার লাইসেন্স নবীকরণের জন্য রাজ্যের আবগারি মন্ত্রী কে বাবুর বিরুদ্ধে সম্প্রতি ১০ কোটি টাকা ঘুষ নেওয়ার অভিযোগ ওঠে। সেই মামলাতেই শনিবার সকালে আদালত রাজ্যের ভিজিল্যান্স দফতর এবং দুর্নীতি দমন ব্যুরোকে বাবুর বিরুদ্ধে এফআইআর করার নির্দেশ দেয়। তার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী উমেন চান্ডিকে পদত্যাগপত্র পাঠান বাবু।
নভেম্বরেই কোটি কোটি টাকা তছরুপের অভিযোগে পদত্যাগ করেছিলেন উমেন চান্ডি সরকারের অর্থমন্ত্রী কে এম মানি। যার জেরে তুমুল সমালোচনার মুখে পড়েছিল কংগ্রেস সরকার। তার পর দু’মাসও পেরোয়নি। বিধানসভা নির্বাচনের আগে শাসক দলের আর এক মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠায় কপালে ভাঁজ পড়েছে কংগ্রেসের।
শনিবার চান্ডিকে পদত্যাগপত্র পাঠানোর কিছু পরেই কোচিতে সাংবাদিক বৈঠক করেন বাবু। বলেন, ‘‘নৈতিকতার খাতিরে পদত্যাগ করছি।’’ দাবি করেছেন, ষড়যন্ত্র চলছে তাঁর বিরুদ্ধে। আবগারি মন্ত্রী এ-ও জানান, সামাজিক কল্যাণের জন্য সরকারের নির্দেশ পালন করতে গিয়েছিলেন। আর তাতেই পানশালা মালিকদের কুনজরে পড়ে গিয়েছেন। আদালতের রায়কে ‘অস্বাভাবিক’ অভিহিত করে উচ্চতর আদালতে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন তিনি।
চান্ডি সরকারের নয়া মদ-নীতি অনুযায়ী রাজ্য জুড়ে সাতশোরও বেশি পানশালা-হোটেল বন্ধের সিদ্ধান্ত হয় সম্প্রতি। আবগারি দফতরের মন্ত্রী হিসেবে সেই দায়িত্ব বর্তায় বাবুর উপর। কেরলের পানশালা মালিকদের সংগঠনের প্রেসিডেন্ট রমেশ দাবি করেন মদ-নীতির আওতা থেকে বাঁচার জন্য বাবুকে ১০ কোটি টাকা দিয়েছিলেন তাঁরা। রমেশের সেই অভিযোগের ভিত্তিতে শুরু হয় মামলা।
আদালত আজ এফআইআর করার নির্দেশ দিতেই বাবু পদত্যাগ করে বসেন। তবে এখনও পর্যন্ত কোনও এফআইআর-ই হয়নি তাঁর বিরুদ্ধে। আবগারি মন্ত্রীর দাবি, পানশালা মালিকরাই শুধু নন। তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে সামিল হয়েছে বিরোধী দল সিপিএমও। ডিসেম্বরের শেষে সিপিএমের এক বিধায়কের বাড়িতে পানশালা মালিকেরা বৈঠক করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন তিনি। বাবুর কথায়, ‘‘২৫ বছর ধরে বিধায়ক পদে আছি। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির জন্যই মানুষ বারবার ক্ষমতায় ফিরিয়ে এনেছেন।’’