প্রতীকী ছবি।
বাংলাদেশি সন্দেহে পুলিশ যে ১৩ জনকে ধরে নিয়ে গিয়েছে তাঁরা কবে ছাড়া পাবে তা নিয়ে সংশয় কাটেনি এখনও। আতঙ্ক গ্রাস করেছে নয়ডায় থাকা কোচবিহারের বাসিন্দাদের।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় দিল্লিতে কোচবিহারের সাংসদ পার্থপ্রতিম রায়ের সঙ্গে দেখা করেন ওই পরিবারগুলির কয়েকজন সদস্য। তাঁদেরই একজন আনারুল হক বলেন, “কী করব বুঝে উঠতে পারছি না। সমস্ত পরিচয় পত্র থাকাতেও আমাদের বাংলাদেশি বলা হচ্ছে। সাংসদকে সব কথাই জানালাম।’’ যে ১৩ জনকে পুলিশ ধরে নিয়ে গিয়েছে তাঁদের মধ্যে রয়েছেন পোয়াতুরকুঠির বাসিন্দা রফিকুল হক। তাঁর স্ত্রী বাবলি রয়েছেন নয়ডায়। তিনি বলেন, “দু’টো পয়সা রোজগারের সন্তান-আত্মীয় সবাইকে ছেড়ে এখানে থাকি। এখন স্বামী জেলে। কবে ছাড়া পাবে বুঝতে পারছি না। আতঙ্কে দিন কাটছে।’’
কোচবিহারের সাংসদ বলেন, “জেলার বাসিন্দাদের এমন হেনস্থা মেনে নেব না। দলীয় নেতৃত্বের সঙ্গে কথা বলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।” ইতিমধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বিষয়টি নিয়ে সরব হয়েছেন। পাশাপাশি সারা ভারত ফরওয়ার্ড ব্লকের শ্রমিক সংগঠন টিইউসিসি আগামী ২৯ জুলাই পার্লামেন্ট অভিযানের ডাক দিয়েছে।
কোচবিহারে লক্ষাধিক মানুষ কাজের জন্য ভিন্ রাজ্যে থাকেন। নয়ডা থেকে বাংলাদেশি সন্দেহে যে ১৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁদের প্রায় প্রত্যেকের বাড়ি বাংলাদেশ সীমান্ত লাগোয়া বামনহাট ও বড় আটিয়াবাড়িতে।