জোজি লা-য় বরফ, আটকে বাঙালিরা

কড়া ঠান্ডা থাকলেও লেহ-র ঝকঝকে নীল আকাশ, প্যাংগং লেকের শোভা, খারদুং লা দিয়ে যাওয়ার অ্যাডভেঞ্চার সবই উপভোগ করছিলেন কলকাতা থেকে লেহ, লাদাখ, কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া জনা পঞ্চাশেক পর্যটক। কিন্তু বাদ সাধল জোজি লা-র তুষারপাত। কার্গিল থেকে শ্রীনগরের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আটকে পড়লেন কার্গিলে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৪ নভেম্বর ২০১৮ ০৩:৪৫
Share:

n জেরবার: মরসুমের প্রথম তুষারপাতে ভোগান্তি গৃহহীনের। শনিবার শ্রীনগর ভুগল ব্যাপক যানজটেও। উড়ানে দেরি, বেহাল বিদ্যুৎ পরিষেবা— তাল কাটল জম্মু ও কাশ্মীরের একটা ব়ড় অংশে। তুষারপাতে পির-কি-গলি সংলগ্ন অঞ্চলে আটকে পড়া ১২০ জনকে এ দিনই উদ্ধার করেছে পুলিশ। জোজি লা গিরিপথে বরফে আটকে প়ড়েছেন বাঙালি পর্যটকেরাও। এপি

নভেম্বরের গোড়াতেই লেহ থেকে শ্রীনগরের সংযোগকারী জোজি লা গিরিপথে বরফে আটকে পড়লেন বাঙালি পর্যটকরা।

Advertisement

কড়া ঠান্ডা থাকলেও লেহ-র ঝকঝকে নীল আকাশ, প্যাংগং লেকের শোভা, খারদুং লা দিয়ে যাওয়ার অ্যাডভেঞ্চার সবই উপভোগ করছিলেন কলকাতা থেকে লেহ, লাদাখ, কাশ্মীর বেড়াতে যাওয়া জনা পঞ্চাশেক পর্যটক। কিন্তু বাদ সাধল জোজি লা-র তুষারপাত। কার্গিল থেকে শ্রীনগরের পথ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় তাঁরা আটকে পড়লেন কার্গিলে।

লেহ থেকে কার্গিল হয়ে শ্রীনগর। একটি পর্যটন সংস্থার সঙ্গে ১৩ দিনের প্যাকেজ ট্যুরে কলকাতা থেকে গত মাসের ২৫ তারিখ বেরিয়েছিল ৫১ জনের পর্যটকের দলটি। ওই পর্যটন সংস্থার মালিক দেবকুমার দত্ত জানান, ২৫ ও ২৬ তারিখ লেহ-তে থাকার পরে তাঁরা খারদুং লা, প্যাংগং দেখে কার্গিলের উদ্দেশে রওনা দেন ৩১ তারিখ। ১ তারিখ তাঁদের কার্গিল থেকে জোজি লা হয়ে শ্রীনগর যাওয়ার কথা ছিল। কার্গিলের যে হোটেলে তাঁরা ছিলেন, সেই হোটেল কর্তৃপক্ষ সেদিন জানিয়ে দেন, জোজি লা-য় তুষারপাতে রাস্তা বন্ধ।

Advertisement

আরও পড়ুন: ‘মানুষখেকো’ শেষ, তুঙ্গে প্রতিবাদও

দেবকুমারবাবু লেহ থেকে ফোনে বলেন, ‘‘আমাদের ৪০ জন পর্যটকের শ্রীনগর থেকে বিমান ধরে কলকাতায় ফেরার কথা ছিল। বাকি পর্যটকদের লেহ থেকে বিমানের টিকিট ছিল। যাদের লেহ থেকে বিমানের টিকিট ছিল, তাঁরা কার্গিল থেকে লেহ-তে ফিরলেও যাঁদের শ্রীনগর থেকে টিকিট ছিল তাঁরা কার্গিলেই থেকে যান। কিন্তু আবহাওয়া এত খারাপ হয় যে, ওঁরা ওখানেই আটকে পড়েন। শনিবার রাতে আটক পর্যটকরা লেহ ফেরেন।’’

কার্গিল থেকে ফেরা অরিন্দম বিশ্বাস নামে এক পর্যটক ফোনে বলেন, ‘‘লেহ-তে আজ বিকেল থেকে মেঘলা আবহাওয়া। হোটেলমালিকরা বলছেন দু’-এক দিনে তুষারপাত শুরু হবে। হোটেলও বন্ধ করে দেওয়া হবে। আমরা কোথায় থাকব? খাব কী?’’

মৌসম ভবন জানায়, লেহ-র তাপমাত্রা শনিবার শূন্য ডিগ্রি সেলসিয়াসে পৌঁছেছে। যাঁরা শ্রীনগরে যেতে না পেরে লেহ-তে ফিরেছেন, তাঁদের নতুন করে বিমানের টিকিট লেহ থেকে কাটতে হবে। সেই বিমানের ভাড়া এখন অনেক বেশি। পর্যটকরা জানান, বিমানে এত বেশি ভাড়া দিয়ে কলকাতা ফেরা অসম্ভব। দেবকুমারবাবু বলেন, ‘‘প্রতিবার নভেম্বরে পর্যটকদের নিয়ে লেহ-তে আসি। নভেম্বরে কখনও এ রকম ঠান্ডা দেখিনি। এত তুষারপাতও দেখিনি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন