National News

বেতন চাইতেই খুন নাবালিকা পরিচারিকা, পাঁচ মাস পর দিল্লিতে ধৃত বাঙালি মহিলা

পুলিশ জানিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে বেতন চাওয়ার কারণে পরিচারিকাকে খুন করার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত ছিলেন গৌরী নামে ওই মহিলা। তার সন্ধান দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০১৮ ১৩:০৪
Share:

গ্রাফিক শৌভিক দেবনাথ।

পরিচারিকাকে খুন করার পর গা ঢাকা দিয়েছিলেন তিনি। তার পর পরিচয় লুকিয়ে এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেও নতুন ঘরও বসিয়েছিলেন। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। শেষ পর্যন্ত পরিচারিকা খুনে মূল অভিযুক্ত বছর আটত্রিশের ওই বাঙালি মহিলাকে গ্রেফতার করল দিল্লি পুলিশ।

Advertisement

পুলিশ জানিয়েছে, মাস পাঁচেক আগে বেতন চাওয়ার কারণে পরিচারিকাকে খুন করার অভিযোগে মূল অভিযুক্ত ছিলেন গৌরী নামে ওই মহিলা। তার সন্ধান দিতে পারলে ৫০ হাজার টাকা পুরস্কারও ঘোষণা করেছিল পুলিশ। শুক্রবার গোপন সূত্রে খবর পেয়ে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়।

চলতি বছরের ৪ মে উত্তর-পশ্চিম দিল্লির মিয়াঁওয়ালি নগরে বছর বারোর এক অজ্ঞাতপরিচয় কিশোরীর হাত কাটা দেহ উদ্ধার করে পুলিশ। কয়েক দিন পর ওই জায়গা থেকে কিছুটা দূরে নর্দমায় পড়ে থাকা একটি ট্রাঙ্কের ভিতর থেকে মেলে দু’টি হাত। তদন্তে নেমে পুলিশ মনোজিৎ নামে এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করে।

Advertisement

আরও পড়ুন: লাইনে দাঁড়িয়েই রাবণ পোড়ানো দেখছিল জনতা, পিষে দিল ট্রেন, অমৃতসরে মৃত অন্তত ৬০

মনোজিৎকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে, ওই কিশোরীর বাড়ি ঝাড়খণ্ডের রাঁচীতে। মনোজিৎই ওই কিশোরীকে ঝাড়খণ্ড থেকে কাজের লোভ দেখিয়ে দিল্লিতে নিয়ে এসেছিলেন। তাঁর পরিচিত গৌরী নামের ওই মহিলা একটি প্লেসমেন্ট এজেন্সি চালাতেন। সেখানেই কিশোরীকে পরিচারিকার কাজে ঢুকিয়ে দেন মনোজিৎ। কিন্তু, মাইনের পুরো টাকাই মনোজিৎ নিয়ে নিতেন। বছরখানেক কাজ করার পর গত মে মাসে বেতন চাইতেই কিশোরীকে খুনের পরিকল্পনা করেন গৌরী এবং মনোজিৎ। তাঁদের সাহায্য করেন শালু ওরফে সারু এবং রাকেশ নামের দু’জন। এর পর ওই কিশোরীকে খুন করে তার দেহ বস্তায় এবং একটি বাক্সে হাত দুটো ভরে আলাদা আলাদা জায়গায় ফেলে দেন।

আরও পডু়ন: তিব্বতে বিশাল ধসে আটকে গেল ব্রহ্মপুত্র, ভারতকে সতর্ক করল চিন

কিন্তু, মনোজিৎ বাদে ঘটনার পর থেকেই বেপাত্তা হয়ে যান বাকি তিন অভিযুক্ত। অবশেষে গোপন সূত্রে খবর পেয়ে শুক্রবার পুলিশ গ্রেফতার করে গৌরীকে। তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পেরেছে, ঘটনার পরেই দিল্লি ছেড়ে তিনি হরিয়ানার ঝিন্দ এলাকায় চলে গিয়েছিলেন। পরিচয় লুকাতে সেখানে কারতার সিংহ নামে এক ব্যক্তিকে বিয়েও করেন। কিন্তু, সেই পরিকল্পনাও কাজে এল না। শেষ পর্যন্ত পুলিশের জালে ধরা পড়তেই হল। দিল্লি পুলিশ জানিয়েছে, পরিকল্পনা করে ঠান্ডা মাথায় খুন, তথ্যপ্রমাণ লোপাট-সহ একাধিক ধারায় গৌরীর বিরুদ্ধেও মামলা দায়ের করা হয়েছে। বাকি দু’জনের খোঁজে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন