Bengaluru Doctor Death

অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানাস্থেশিয়া দিয়ে খুন! বেঙ্গালুরুতে তরুণী ডাক্তারের মৃত্যুতে ধৃত শল্যচিকিৎসক স্বামী, এক সহকর্মী

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃতিকা রেড্ডি। তিনি একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃতিকা।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৬ অক্টোবর ২০২৫ ১১:৩৮
Share:

(বাঁ দিকে) মৃত চিকিৎসক কৃতিকা রেড্ডি। (ডান দিকে) তাঁর চিকিৎসক স্বামী মনেন্দ্র রেড্ডি। ছবি: সংগৃহীত।

অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানাস্থেশিয়া ব্যবহার করে চিকিৎসক স্ত্রীকে খুনের অভিযোগ উঠল তাঁরই চিকিৎসক স্বামীর বিরুদ্ধে। ছ’মাস আগের এই ঘটনায় স্ত্রীকে খুনের অভিযোগে গ্রেফতার করা হয়েছে স্বামীকে। ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর মুনেকোলাল এলাকার।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার নাম কৃতিকা রেড্ডি। তিনি একজন ত্বক বিশেষজ্ঞ ছিলেন। গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃতিকা। তাঁর স্বামী মহেন্দ্র রেড্ডি তখন কৃতিকাকে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। কিন্তু চিকিৎসকেরা কৃতিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। সেই সময় একটি অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে পুলিশ।

কৃতিকা রেড্ডি। ছবি: সংগৃহীত।

তদন্তকারী এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কৃতিকার বাড়ি থেকে বেশ কিছু চিকিৎসা সরঞ্জাম, ইঞ্জেকশন টিউব এবং ওষুধ মেলে। সেগুলি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়। কৃতিকার ভিসেরা নমুনাও সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য পাঠানো হয়েছিল। সম্প্রতি সেই রিপোর্ট হাতে পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারী আধিকারিক জানিয়েছেন, ওই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, কৃতিকার শরীরে কড়া মাত্রার অ্যানাস্থেটিক ওষুধের উপস্থিতি মিলেছে। পুলিশের সন্দেহ, যেহেতু তরুণীর স্বামী নিজে একজন শল্য চিকিৎসক, তাই তাঁর সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানাস্থেশিয়া কৃতিকার শরীরে প্রয়োগ করেছিলেন। তার জেরেই অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃতিকা। তার পর মৃত্যুও হয়।

Advertisement

বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনার শ্রমীন্ত কুমার সিংহ বলেন, ‘‘এখনও পর্যন্ত যা যা প্রমাণ মিলেছে, সেগুলির ভিত্তিতে সন্দেহ করা হচ্ছে তরুণীর স্বামী এই কাজের সঙ্গে যুক্ত। কারণ কৃতিকা অসুস্থ হওয়ার পর তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে এসেছিলেন তাঁর স্বামী। তিনি জানিয়েছিলেন, শরীর ভাল ছিল না কৃতিকার। চিকিৎসা চলছিল। কিন্তু এখন জানা যাচ্ছে, কড়া মাত্রার কোনও মাদক কৃতিকার শরীরে ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে ব্যবহার করা হয়েছিল। ইচ্ছাকৃত ভাবে এটা করা হয়েছিল বলেই মনে করা হচ্ছে।’’

কৃতিকার দেহের ময়নাতদন্তের রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসার পর ১৩ অক্টোবর তাঁর স্বামী মহেন্দ্র বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করে কৃতিকার পরিবার। ১৪ অক্টোবর মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতার করা হয়েছে তাঁর এক সহকর্মীকেও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement