(বাঁ দিকে) মৃত চিকিৎসক কৃতিকা রেড্ডি। চিকিৎসক স্বামী মহেন্দ্র রেড্ডি (ডান দিকে) — ফাইল চিত্র।
অনেক দিন ধরে একটু একটু করে অ্যানাস্থেশিয়া প্রয়োগ করে চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ স্ত্রীকে খুন করেছিলেন শল্যচিকিৎসক স্বামী। বেঙ্গালুরুর সেই ঘটনার তদন্তে এ বার প্রকাশ্যে এল নয়া তথ্য। জানা গেল, স্ত্রীর মৃত্যুর পর পরই প্রেমিকাকে মেসেজ করে ‘সুখবর’ দিয়েছিলেন অভিযুক্ত সার্জন মহেন্দ্র রেড্ডি। লিখেছিলেন, ‘‘তোমার জন্যই স্ত্রীকে খুন করলাম!’’
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন মহেন্দ্র। তাই সম্ভবত ‘পথের কাঁটা’ সরাতেই স্ত্রীকে খুনের ছক কষেন তিনি। টানা কয়েক মাস ধরে একটু একটু করে অ্যানাস্থেশিয়া দিতে থাকেন স্ত্রীকে। এমনকি, স্ত্রীর মৃত্যুর পরেই অনলাইনে টাকা পাঠানোর অ্যাপে প্রেমিকাকে একটি মেসেজ করেন মহেন্দ্র। তাতে লেখেন, ‘‘তোমার জন্য স্ত্রীকে খুন করলাম!’’ মহেন্দ্রের ফোনের ফরেন্সিক বিশ্লেষণের সময় মেসেজটি খুঁজে পেয়েছে পুলিশ। তদন্তকারীরা জানিয়েছেন, ওই মহিলাকে তলব করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তাঁর বয়ানও রেকর্ড করা হয়েছে। তবে পুলিশের তরফে এখনও মহিলার পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি।
গত ২১ এপ্রিল বাড়িতে আচমকা অসুস্থ হয়ে পড়েন কৃতিকা রেড্ডি নামে ওই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ। তাঁর স্বামী মহেন্দ্র তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে স্থানীয় একটি হাসপাতালে যান। সেখানে চিকিৎসকেরা কৃতিকাকে মৃত বলে ঘোষণা করেন। রুজু হয় অস্বাভাবিক মৃত্যুর মামলা। পরে জানা যায়, কৃতিকার শরীরে কড়া মাত্রার অ্যানাস্থেটিক ওষুধের উপস্থিতি মিলেছে। যেহেতু মহেন্দ্র নিজে শল্যচিকিৎসক, তাই সেই অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে অতিরিক্ত মাত্রায় অ্যানাস্থেশিয়া স্ত্রীর শরীরে প্রয়োগ করেছিলেন তিনি। তার জেরেই মৃত্যু হয় কৃতিকার। ঘটনার ছ’মাস পর, ১৫ অক্টোবর মহেন্দ্রকে গ্রেফতার করা হয়।