কাশ্মীরের পর আবারও উঠল গোর্খাল্যান্ড প্রসঙ্গ

৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ এবং উত্তরের এই রাজ্যকে দু’ভাগ করার পরে রাজ্যসভার বিতর্কে পি চিদম্বরম থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন, একাধিক বিরোধী নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এর পরে তো যে কোনও রাজ্যকেই এই ভাবে ভেঙে দেওয়া হবে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৬ অগস্ট ২০১৯ ০৩:০১
Share:

—ফাইল চিত্র।

জম্মু-কাশ্মীর তুলে দিল গোর্খাল্যান্ড, গ্রেটার কোচবিহারের প্রসঙ্গও।

Advertisement

৩৭০ অনুচ্ছেদের বিলোপ এবং উত্তরের এই রাজ্যকে দু’ভাগ করার পরে রাজ্যসভার বিতর্কে পি চিদম্বরম থেকে ডেরেক ও’ব্রায়েন, একাধিক বিরোধী নেতা আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, এর পরে তো যে কোনও রাজ্যকেই এই ভাবে ভেঙে দেওয়া হবে। পশ্চিমবঙ্গের প্রসঙ্গও তোলেন তাঁরা। চিদম্বরম বলেন, ‘‘এমন তো উত্তরবঙ্গ, ওড়িশা, তামিলনাড়ুর ক্ষেত্রেও হতে পারে।’’ ডেরেকের মন্তব্য, ‘‘এমন চলতে থাকলে পশ্চিমবঙ্গ না সাত নম্বর কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে যায়!’’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ তাঁর জবাবি বক্তৃতায় সকলকে আশ্বস্ত করে বলেন, ‘‘আর কোনও রাজ্য তো ৩৭০ অনুচ্ছেদ ছিল না। তাই এমন আশঙ্কার কারণ নেই।

এর আগে যখন অন্ধ্রপ্রদেশকে ভাগ করে তেলঙ্গানা তৈরি হয়, তখনও পাহাড়ে গোর্খাল্যান্ডের দাবিতে আলোড়ন পড়েছিল। এ বার শুধু দার্জিলিংই নয়, পৃথক রাজ্য নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছে কোচবিহারেও। পাহাড়ে বিজেপির সাংসদ রাজু বিস্তা বরাবরই দীর্ঘকালীন রাজনৈতিক সমাধানের কথা বলছেন। দার্জিলিঙের বিজেপি বিধায়ক নীরজ জিম্বা এ দিন বলেন, ‘‘যদিও কাশ্মীর এবং দার্জিলিঙের মধ্যে মিল নেই, তবু কাশ্মীর একটা উদাহরণ হয়ে থাকল। দার্জিলিংকে যাতে বিধানসভা-সহ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল করা হয়, সে জন্য আমি কেন্দ্রের কাছে প্রস্তাব পাঠাব।’’

Advertisement

তৃণমূলের সহযোগী বিনয় তামাং ও অনীত থাপারাও জোর গলায় গোর্খাল্যান্ডের দাবি তুলেছেন। লোকসভা ভোটে হারের পরেই বিনয় এই দাবি তোলেন। এ দিন তাঁর দাবি, ‘‘কেন্দ্রীয় সরকার অতি দ্রুত দার্জিলিংকেও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করুক।’’ জিটিএ-র চেয়ারম্যান অনীত থাপাও বলেন, ‘‘দেশের সুরক্ষার প্রশ্নে আন্তর্জাতিক সীমান্তবর্তী জম্মু-কাশ্মীরকে ভাগ করেছে কেন্দ্র। একই কারণে গোর্খাল্যান্ডও মেনে নেওয়া উচিত।’’

সমতলের বিজেপি নেতৃত্ব অবশ্য এই ব্যাপারে সাবধানী। দলের শিলিগুড়ি সাংগঠনিক জেলা সভাপতি অভিজিৎ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘দার্জিলিঙে কি হবে না হবে, তা কেন্দ্র ঠিক করবে। আমরা এ নিয়ে কিছু বলছি না।’’ উল্টো দিকে আবার গোটা পরিস্থিতির জন্য কেন্দ্রীয় শাসকদলকে দায়ী করে রাজ্যের পর্যটনমন্ত্রী গৌতম দেব বলেন, ‘‘এলাকাকে অশান্ত করা ছাড়া বিজেপি কিছুই করবে না।’’

এতটা জোরালো না হলেও উঠে এসেছে গ্রেটার কোচবিহার রাজ্যের প্রসঙ্গও। সদ্য রবিবারই এই দাবি নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেছিলেন গ্রেটার নেতা বংশীবদন বর্মণ। এ দিন তিনি বলেন, “কোচবিহার রাজ্যের ভারতভুক্তি চুক্তি কার্যকর করতে হবে। আমরা এই বিষয়ে আন্দোলনে নামব।” বিজেপির কোচবিহার জেলার সভানেত্রী মালতী রাভা অবশ্য এই সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য ও কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের উপরেই ছেড়ে দিয়েছেন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন