বিহারে ভোট সেপ্টেম্বর-অক্টোবরে, জানালেন জাইদি

বিহারে বিধানসভা ভোট হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে— এমনই ইঙ্গিত দিলেন দেশের মুখ্য নিবার্চন কমিশনার নাজিম জাইদি। বিহারের ভোটকে ‘সমস্ত নির্বাচনের মা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আজ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও টাকা দিয়ে ভোট কেনা রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৮ মে ২০১৫ ০২:৫৮
Share:

বিহারে বিধানসভা ভোট হতে পারে আগামী সেপ্টেম্বর-অক্টোবর মাসে— এমনই ইঙ্গিত দিলেন দেশের মুখ্য নিবার্চন কমিশনার নাজিম জাইদি। বিহারের ভোটকে ‘সমস্ত নির্বাচনের মা’ হিসেবে চিহ্নিত করে আজ তিনি জানান, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন ও টাকা দিয়ে ভোট কেনা রুখতে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের পরই সে রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করা হবে। নির্ঘণ্ট তৈরির সময় নজর রাখা হবে আবহাওয়া পরিস্থিতি, উৎসব, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির পরীক্ষার তারিখের দিকেও।

Advertisement

বিহারে ভোটের দামামা বাজতেই ব্যস্ততা বেড়েছে রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরমহলে। জেডিইউ রাজ্য সভাপতি বশিষ্ঠ নারায়ণ সিংহের সঙ্গে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসেছেন আরজেডি নেতা ভোলা যাদব। এ দিন ভোলা যাদব বলেছেন, ‘‘দিন তিনেকের মধ্যেই দু’টি দলের মধ্যে আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হয়ে যাবে।’’ তবে তাঁর কথায় স্পষ্ট হয়েছে, জেডিইউ-আরজেডি কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে লড়লেও রাজ্যে আসন্ন বিধানসভা ভোটের আগে জনতা পরিবার মিশে যাওয়ার সম্ভাবনা ক্ষীণ।

বিজেপি নেতা তথা বিহারের প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী সুশীল মোদী বলেছেন, ‘‘ভোটের জন্য আমরা প্রস্তুত। আপাতত এনডিএ জোটের শরিকদের সঙ্গে আসন-বণ্টন নিয়ে আলোচনা চলছে।’’ কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা রাষ্ট্রীয় লোক সমতা পার্টির নেতা উপেন কুশওয়াহা বলেন, ‘‘আগামী কাল ভোট হলেও আমরা লড়তে পারি।’’

Advertisement

উল্লেখ্য, আগামী নভেম্বরে বর্তমান বিহার বিধানসভার কার্যকালের মেয়াদ শেষ হবে। জাইদি জানান, সংবিধান অনুসারে ওই সময়সীমার ৬ মাস আগের মধ্যে যে কোনও সময় ভোট করানো যায়। তবে এর আগে সাধারণ ভাবে সেপ্টেম্বর-অক্টোবরেই বিহারে ভোটগ্রহণ হয়ে এসেছে। নির্বাচনের তারিখ বা কতগুলি পর্যায়ে সে রাজ্যে ভোট করানো হবে— তা নিয়ে মুখ্য নিবার্চন কমিশনার কোনও মন্তব্য করেননি। জাইদি জানান, টাকা, উপহার বা পানীয় ছড়িয়ে ভোট কেনার চেষ্টা রুখতে এ বার বিহারে সতর্ক নজর রাখবে কমিশন। পাশাপাশি, মাওবাদী অধ্যুষিত এলাকায় যথেষ্ট সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা হবে। সেই সংখ্যা কত, তা নিয়ে তিনি মুখ খোলেননি।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement