National News

বন‌্‌ধে আটকে পড়া অ্যাম্বুল্যান্সে শিশুর মৃত্যু বিহারে! মন্ত্রীর দাবি ওড়ালেন জেলাশাসক

জেহানাবাদের জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রমোদ মানিনি নামে এক ব্যক্তির দু’বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। গ্রামাঞ্চলে গাড়ি পেতে দেরি হয়। শেষে একটি অটোতে করে ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই গাড়ি কোথায় আটকানো হয়নি।’’

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

পটনা ও নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১০ সেপ্টেম্বর ২০১৮ ১৬:৫৮
Share:

অলঙ্করণ তিয়াসা দাস।

বন‌্‌ধের দিনে বিহারে এক শিশুর মৃত্যুকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক চাপান-উতোর শুরু হল বিজেপি ও কংগ্রেসের মধ্যে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ সাংবাদিক বৈঠক করে সোমবার দাবি করেন, কংগ্রেস কর্মীরা অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোয় মৃত্যু হয়েছে দু’বছরের এক শিশুকন্যার। যদিও জেলা প্রশাসন জানিয়েছে, ওই শিশুর মৃত্যুর সঙ্গে বন‌্‌ধের কোনও সম্পর্ক নেই। অভিযোগ উড়িয়ে দিয়েছে কংগ্রেসও।

Advertisement

কংগ্রেস, সিপিএম-সহ বিরোধীদের ডাকা বন‌্ধ নিয়ে নয়াদিল্লিতে একটি সাংবাদিক বৈঠক করেন কেন্দ্রীয় ইলেক্ট্রনিক্স ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ। তিনি অভিযোগ করেন, জেহানাবাদে বন‌্ধ সমর্থকরা একটি অ্যাম্বুল্যান্স আটকান। ওই অ্যাম্বুল্যান্সে ছিল বছর দুয়েকের এক অসুস্থ শিশু। অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোর জেরে ওই শিশুকে নিয়ে সময়মতো হাসপাতালে পৌঁছতে পারেননি তার পরিবারের লোকজন। পথেই মৃত্যু হয় ওই নাবালিকার। রাহুল গাঁধীকে নিশানা করে রবিশঙ্করের প্রশ্ন, ‘‘এই মৃত্যুর দায় কি রাহুল গাঁধী নেবেন, কংগ্রেস নেবে?’’

রবিশঙ্কর নিজে বিহারের সাংসদ। তাঁর এই মন্তব্য ঘিরে স্বাভাবিক ভাবেই রাজনৈতিক পারদ চড়েছে। কংগ্রেসের তরফে খোঁজ খবর শুরু হয়। শেষে বিহারের কংগ্রেস নেতারা জানিয়ে দেন, অ্যাম্বুল্যান্স আটকানোর মতো কোনও ঘটনাই ঘটেনি। একটি শিশুর মৃত্যু হয়েছে। তার তার সঙ্গে বন‌্‌ধের কোনও যোগ নেই। বিজেপিকে কংগ্রেসের পাল্টা তোপ, ‘‘নিজেদেরই প্রশাসন, ভাল করে খোঁজ নিলেই জানতে পারতেন মন্ত্রী। তা না করে কোথায় কী খবর পেয়ে সেটা সংবাদমাধ্যমেও বলে দিলেন।’’

Advertisement

আরও পড়ুন: এই সরকারের পতন অবশ্যম্ভাবী, মোদীকে তোপ দেগে বললেন মনমোহন

জেহানাবাদের জেলাশাসক অলোকরঞ্জন ঘোষ বলেন, ‘‘প্রমোদ মানিনি নামে এক ব্যক্তির দু’বছরের মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। গ্রামাঞ্চলে গাড়ি পেতে দেরি হয়। শেষে একটি অটোতে করে ওই শিশুকে নিয়ে হাসপাতালে যাচ্ছিলেন পরিবারের লোকজন। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁর মৃত্যু হয়। ওই গাড়ি কোথাও আটকানো হয়নি।’’

আরও পড়ুন: লাইভ: দেশ জুড়ে বন‌্ধে বিক্ষিপ্ত অশান্তি, অবরোধ-বিক্ষোভে রাজ্যে রাজ্যে ভোগান্তি

তা হলে এই খবর রটল কী ভাবে? স্থানীয় সূত্রে খবর, প্রমোদ মানিনি নামে ওই ব্যক্তি বাড়ি থেকেই দেরি করে বেরিয়েছিলেন। কারণ গাড়ি পেতে দেরি হয়েছিল। মেয়ের মৃত্যুর পর সংবাদ মাধ্যমে তিনি বলেন, ‘‘আর একটু আগে গাড়ি পেলে হয়তো মেয়েটাকে বাঁচাতে পারতাম।’’ সেটাই বন‌্‌ধের জন্য গাড়ি মেলেনি বলে রটে যায়। স্থানীয় বিজেপি নেতাদের মাধ্যমে সেই খবর মন্ত্রীর কানেও যায় বলে অভিযোগ।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন