নীতীশের মুখোমুখি তেজস্বী, নীরব দু’পক্ষ

সেখানে তেজস্বীর নেতৃত্বে আরজেডি মন্ত্রীরা জোট বেঁধে হাজির হন। বৈঠক শেষে তেজস্বী তাঁর বড় ভাই তেজপ্রতাপকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রীর অফিস-ঘরে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

পটনা শেষ আপডেট: ১৯ জুলাই ২০১৭ ০৪:০৭
Share:

তেজস্বী। —ফাইল চিত্র।

অবশেষে মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের সঙ্গে আলাদা করে বৈঠকে বসলেন বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। আজ রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠক ছিল সচিবালয়ে। সেখানে তেজস্বীর নেতৃত্বে আরজেডি মন্ত্রীরা জোট বেঁধে হাজির হন। বৈঠক শেষে তেজস্বী তাঁর বড় ভাই তেজপ্রতাপকে সঙ্গে নিয়ে হাজির হন মুখ্যমন্ত্রীর অফিস-ঘরে। কিছুক্ষণ পরে তেজপ্রতাপ বেরিয়ে আসেন। তার আরও কিছু পরে নীতীশের সঙ্গে ‘দ্বিপাক্ষিক’ বৈঠক সেরে সচিবালয় থেকে বেরিয়ে যান তেজস্বী। দু’পক্ষই এই একান্ত বৈঠক নিয়ে নীরব।

Advertisement

নীতীশের সঙ্গে বৈঠক সেরে বেরিয়ে তেজস্বী ১০ নম্বর সার্কুলার রোডে ফিরে যান। সেখানে তখন হাজির ছিলেন আরজেডির বরিষ্ঠ নেতা, মন্ত্রীরা। ছিলেন লালুপ্রসাদও। নীতীশের সঙ্গে তাঁর কী কথা হল সে সম্পর্কে দলীয় নেতাদের তেজস্বী বিশদে জানান।

এ দিকে, একটি টিভি চ্যানেলের ‘স্টিং অপারেশনে’ জেডিইউ সাধারণ সম্পাদক শ্যাম রজকের বক্তব্য নিয়ে তোলপাড় শুরু হয়েছে বিহার রাজনীতিতে। শ্যাম রজককে বলতে শোনা যায়, কোনও আদর্শ বা নীতির ভিত্তিতে নয়, বিহারে মহাজোট তৈরি হয়েছে ক্ষমতায় টিকে থাকতেই। এবং ক্ষমতায় টিকে থাকতেই মহাজোট থাকবে। বিজেপি সূত্র বলছে, শ্যাম রজকের এই বক্তব্যেই মহাজোট-রাজনীতি স্পষ্ট হচ্ছে। তবে এই নিয়ে জেডিইউ বা আরজেডি খুব বিচলিত নয়। জেডিইউয়ের এক নেতার কথায়, এ তো নতুন কথা নয়। বিজেপিকে ঠেকাতেই তো এই জোট। বিহারে বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে দূরে রাখতে গেলে মহাজোটকে তো ক্ষমতায় টিকে থাকতেই হবে। আরজেডির এক নেতার কথায়, বিজেপিকে ঠেকানোর নীতি নিয়েই তো মহাজোট তৈরি হয়েছে।

Advertisement

আরও পড়ুন: যুদ্ধের হুমকি চিনের, তবু সংযত দিল্লি

এ দিকে, আজ ফের তেজস্বীর বিরুদ্ধে বেনামি সম্পত্তি রাখার অভিযোগ তুলেছেন বিজেপি নেতা সুশীল মোদী। তিনি বলেন, ‘‘২৬ বছরে ২৬টি বেনামি সম্পত্তির মালিক তেজস্বী। তার মধ্যে ১৩টি সম্পত্তির মালিক নাবালক থাকার সময়েই হয়েছিলেন তিনি। বাকি ১৩টির মালিক হয়েছেন সাবালক হওয়ার পরে।’’ সূত্রের খবর, লালুপ্রসাদের বাসভবনে পাওয়া নথিপত্রের ভিত্তিতে সিবিআই নতুন এফআইআর দায়ের করতে পারে। পরিবারের অন্য সদস্যদের বিরুদ্ধেও এফআইআর করার প্রস্তুতি নিচ্ছে তারা। অন্য দিকে, আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করছেন লালুপ্রসাদও। এরই মধ্যে লালু্প্রসাদের বড় ছেলে তথা রাজ্যের স্বাস্থ্যমন্ত্রী তেজপ্রতাপ তাঁর সরকারি বাসভবন, ৩ দেশরত্ন মার্গে অষ্টপ্রহর সংকীর্তনের আয়োজন করেছেন। আজ ভোর থেকে শুরু হয়ে তা আগামী কাল ভোর পর্যন্ত চলবে। রোহতাস ও বক্সার থেকে কীর্তনের দল এসেছে। উল্লেখ্য, এর আগে তেজপ্রতাপ নিজের বাংলোর বাস্তুতন্ত্রে পরিবর্তন করে ‘শত্রু-মারণ জপ’ যজ্ঞ করেছিলেন। পরিবারের উপরে নেমে আসা সাম্প্রতিক বিপদ কাটাতে সোমবার রাবড়ীদেবীর বাড়িতেও ‘রুদ্রাভিষেক ব্রত’ উদযাপন করা হয়েছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন