একের পর এক ঘটনা প্রবাহে দিন কয়েক ধরেই খবরের শিরোনামে বিহার বিধানসভা। এ বার বিহার বিধানসভায় ‘জয় শ্রীরাম’ বলে বিপাকে পড়লেন বিহারের মুসলিম বিধায়ক খুরশিদ ওরফে ফিরোজ আহমেদ। একজন মুসলিম হয়েও রামের নাম উচ্চারণ করায় বিহারের সংখ্যালঘু সম্প্রদায় ‘ইমারত শারিয়াহ’-র রোষের মুখে পড়েছিলেন ফিরোজ। তাঁর বিরুদ্ধে জারি হয়েছিল ফতোয়াও। ফতোয়া জারি হতেই সেই ঘটনার জন্য এ বার সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষমা চেয়ে নিলেন ওই বিধায়ক। গতকাল ফিরোজ আহমেদ জানান, তিনি কারও ভাবাবেগে আঘাত করতে চাননি। যদি কারও খারাপ লেগে থাকে তার জন্য আন্তরিক ভাবে তিনি দু:খিত বলেও জানান ফিরোজ।
আরও পড়ুন: রান্নার গ্যাসের ভর্তুকি উঠে যাচ্ছে মার্চের মধ্যে
ফিরোজের মতে, “প্রতিটি মানুষেরই নিজ নিজ বিশ্বাস রয়েছে। আমি কাউকে আঘাত করতে চাইনি। ইসলাম কাউকে আঘাত করতে শেখাওনি। মুখ্যমন্ত্রী আমায় নির্দেশ দিয়েছেন ক্ষমা চাইতে। তাই আমি আপনাদের সামনে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।” শুধু তাই নয়, ফিরোজের মতে মানুষ যখন পৃথিবীতে জন্মায়, তখন তাঁর কোনও ধর্ম থাকে না। সে মানুষ হিসাবেই জন্মায়। এরপর কোনও নির্দিষ্ট ধর্ম গ্রহণ করে সে।
অন্য দিকে, ‘ইমারত শারিয়াহ’-র মুফতি সুহেল আহমদের দাবি, যে মুসলিম ধর্মাবলম্বী রহিমের বদলে ‘জয় শ্রীরাম’ উচ্চারণ করেন, তিনি কখনওই ইসলাম বিশ্বাসী হতে পারেন না। তবে মুফতি এ-ও জানান, ফিরোজের সঙ্গে তাঁর এই বিষয়ে কোনও কথা হয়নি।
ফিরোজের বিরুদ্ধে জারি হওয়া ফতোয়া নিয়ে অবশ্য কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে বিজেপি। দলীয় মুখপাত্র আফজার শামসি বলেন, “কারও বিরুদ্ধেই এই ধরনের ফতোয়া মেনে নেওয়া যায় না। এটা ভারতীয় সংস্কৃতির বিরোধী।”