প্রতীকী ছবি।
জেলের ভিতর অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন বন্দি এক মহিলা। চিকিৎসার জন্য মুজফফরপুরের একটি হাসপাতালেও ভর্তি করানো হয়েছিল বিচারাধীন ওই বন্দিকে। কিন্তু সেই হাসপাতালেরই ওয়াশরুমে তাঁকে টেনে হিঁচড়ে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করলেন ওই বন্দি।
ঘটনাটি ঘটেছে মুজফফরপুরের শ্রীকৃষ্ণ মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ১১ নভেম্বর ওই হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন বন্দি ওই মহিলা। ১৪ তারিখ তার সঙ্গে এই ঘটনাটি ঘটে।
গত শুক্রবারই হাসপাতাল থেকে জেলে ফেরার পরেই বিষয়টি সম্পর্কে অন্যান্য বন্দিদের জানান ওই মহিলা। জেলের সুপারিনটেন্ডেন্টকেও বিষয়টি জানান ওই বন্দি। আর তার পরেই জেল সুপারিনটেন্ডেন্ট ধর্ষণের এই অভিযোগের তদন্ত করতে বলে রাজ্য পুলিশের কাছে চিঠি লেখেন। চিঠি পাওয়ার পরেই নড়ে চড়ে বসে রাজ্য পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে পাওয়া খবর অনুযায়ী, সিতামার্হি জেলার একটি কারাগারে বন্দি ছিলেন ওই মহিলা। পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগও দায়ের করেন মহিলা ওই বন্দি। অভিযোগ, ১৪ নভেম্বরের ওই রাতে শৈলেশ কুমার এবং ছোটেলাল কুমার নামের দু’জন তাঁকে ধর্ষণ করেছিলেন। ওই বন্দির অভিযোগের ভিত্তিতে দু’জনের বিরুদ্ধে মামলাও করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: পশ্চিমবঙ্গে কয়লাখনি বন্টনে দুর্নীতি, দোষী সাব্যস্ত প্রাক্তন কয়লা সচিব
সংবাদ মাধ্যমকে সীতামঢ়ীর জেলাশাসক রঞ্জিত কুমার সিংহ বলছেন, ‘‘পক্ষপাতদুষ্ট না হয়েই ঘটনাটির তদন্ত করা হবে। এবং যত তাড়াতাড়ি সম্ভব অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাও নেওয়া হবে বলে তিনি আশ্বাস দিয়েছেন।’’
ঘটনাটির তীব্র নিন্দা করেছেন আরজেডি নেতা লালুপ্রসাদ যাদবের পুত্র তেজস্বী যাদব। তিনি সরাসারি আঙুল তুলেছেন নীতীশ কুমার এবং তাঁর সরকারের পুলিশকর্মীদের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ভক্তিতেই হোক বা ভয়ে, তেলঙ্গানার গজওয়েল জুড়ে শুধুই কেসিআর
কিছু দিন আগেই আর একটি ধর্ষণের কাণ্ডে কেঁপে উঠেছিল বিহারের মুজফফরপুর। হোমের ৩০ জন মেয়েকে লাগাতার ধর্ষণ এবং শারীরিক নির্যাতনের অভিযোগ ওঠে। মূল অভিযুক্ত ব্রজেশ ঠাকুরকে গ্রেফতারও করে পুলিশ। সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী, রাজ্যের বাইরে তাকে পঞ্জাবের পাটিয়ালাতে জেলে রাখা হয়।
(ভোটের খবর, জোটের খবর, নোটের খবর, লুটের খবর- দেশে যা ঘটছে তার সেরা বাছাই পেতে নজর রাখুন আমাদেরদেশবিভাগে।)