তফসিলি সংশোধনী বিল পাশ লোকসভায়

দলিত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র নরম অবস্থান নেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। সেই চাপের মুখে সংশোধনী এনে পুরনো ধারাগুলি ফের জুড়ে নিয়ে লোকসভায় পাশ হল তফসিলি জাতি-জনজাতি নির্যাতন প্রতিরোধ সংশোধনী আইন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ০৭ অগস্ট ২০১৮ ০৪:১০
Share:

ফাইল চিত্র।

দলিত আইন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে কেন্দ্র নরম অবস্থান নেওয়ায় বিতর্ক শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে। সেই চাপের মুখে সংশোধনী এনে পুরনো ধারাগুলি ফের জুড়ে নিয়ে লোকসভায় পাশ হল তফসিলি জাতি-জনজাতি নির্যাতন প্রতিরোধ সংশোধনী আইন। আর আজই রাজ্যসভায় পাশ হয়েছে ওবিসি কমিশন বিল। বিল দু’টি নিয়ে সংঘাতের পথে যাননি বিরোধীরা।

Advertisement

মাস চারেক আগে দলিত আইন লঘু করার নির্দেশ দেয় সুপ্রিম কোর্ট। যা প্রথমে সরকার মেনে নেয়। এ নিয়ে বিরোধীদের সঙ্গেই সরব হন রামবিলাস পাসোয়ান, রামদাস আটাওয়ালের মতো শরিকরা। চাপ আসে বিজেপির দলিত সাংসদদের থেকেও। দলিত বিক্ষোভ মাথাচাড়া দেয়। চাপের মুখেই দলিত আইনে যে সব ধারায় ফাঁস আলগা করার রায় সুপ্রিম কোর্ট দিয়েছিল, সংশোধনীর মাধ্যমে সেগুলি ফিরিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেয় কেন্দ্র। তাতে চার মাস দেরি হল, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন কংগ্রেসের মল্লিকার্জ্জুন খড়্গে। তিনি বলেন, ‘‘কিছু ব্যবসায়ীর স্বার্থরক্ষায় সংশোধনী বিল আনতে সরকার এতটুকু দেরি করে না। কিন্তু দলিতদের জন্য এটা করতে গিয়ে চার মাস কেটে গেল।’’ তৃণমূলের ইদ্রিশ আলি বলেন, ‘‘সরকার দলিতদের স্বার্থরক্ষায় ব্যর্থ। বিরোধীদের চাপেই সংশোধনী আনতে বাধ্য হল সরকার।’’

লোকসভায় বিলটি বিনা বাধায় পাশ হলেও, কোর্টের ভূমিকা নিয়ে সরব হন ইলাহাবাদের বিজেপি সাংসদ বিজয় শঙ্কর। বলেন, ‘‘সুপ্রিম কোর্টের কাজ হল আইন বিশ্লেষণ। আইন তৈরি করা নয়। সুপ্রিম কোর্টের সক্রিয়তায় বিচারব্যবস্থা না সংসদ কে বড়— সেই বিতর্ক ফের সামনে চলে এসেছে।’’ যদিও বিরোধীদের অভিযোগ, কেন্দ্র অবস্থান নরম করায় সুপ্রিম কোর্ট বিলের ধারা লঘু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন