চাঁদার হিসেব দেয়নি বিজেপি ও কংগ্রেস

তৃণমূল, সিপিএম এবং বিএসপি, এই তিনটি জাতীয় দল ও ২২টি আঞ্চলিক দলই কেবল তাদের অডিট করা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তিন জাতীয় দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে তৃণমূল।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৯ ০৩:১৯
Share:

প্রতীকী ছবি।

আটটি জাতীয় দলের মধ্যে মাত্র তিনটি দল নির্বাচন কমিশনের কাছে ২০১৮-১৯-এর আর্থিক জমা-খরচের খতিয়ান জমা দিয়েছে। অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্মস (এডিআর) আজ এ কথা জানিয়েছে। নির্বাচনী সংস্কারের পক্ষে সরব এই
অ-সরকারি সংস্থা সংস্থা আজ এক রিপোর্ট প্রকাশ করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আটটি জাতীয় দলের মধ্যে বিজেপি ও কংগ্রেস-সহ পাঁচটি দল হিসেব জমা দেয়নি।

Advertisement

তৃণমূল, সিপিএম এবং বিএসপি, এই তিনটি জাতীয় দল ও ২২টি আঞ্চলিক দলই কেবল তাদের অডিট করা রিপোর্ট জমা দিয়েছে। তিন জাতীয় দলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি চাঁদা পেয়েছে তৃণমূল। গত অর্থ বর্ষে তাদের ঘোষিত আয় ১৯২.৬৫ কোটি ও খরচ ১১.৫০ কোটি টাকা। ৯৪ শতাংশ অর্থ দলের ভাঁড়ারে রয়েছে। আঞ্চলিক দলগুলির মধ্যে আয়ের শীর্ষে রয়েছে বিজেডি। তাদের আয় হয়েছে ২৪৯.৩১ কোটি ও খরচ ৫০ কোটি টাকার কাছাকাছি।

রাজনৈতিক দলগুলিকে চাঁদা দেওয়ার প্রশ্নে দুর্নীতি রুখতে নির্বাচনী বন্ড চালু করেছিল মোদী সরকার। ২০১৭-য় মোট ২২২ কোটি টাকার নির্বাচনী বন্ড বিক্রি হয়। যার মধ্যে ২১০ কোটি টাকার বন্ডই গিয়েছিল বিজেপির ঘরে। কিন্তু এ বছর কেন বিজেপি তাদের ঘোষিত আয় লুকিয়ে রাখছে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন তৃণমূল নেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন। তাঁর প্রশ্ন, ‘‘যে দল বিশ্বের সবচেয়ে বড় ও ধনী দল বলে পরিচয় দেয়, গিনেস বুকে নাম তোলার আবেদন করে— তারা কি কিছু লুকোতে চাইছে? সেই জন্যই কি অডিট করা হয়নি? না কি ছোট রাজ্যগুলিতে সরকার কিনতে গিয়ে হিসেব মেলাতে পারছে না শাসক দল!’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement