BJP Candidate List

বিহারের ভোটে বিজেপির প্রথম প্রার্থিতালিকা: পারিবারিক ঘাঁটি থেকে প্রার্থী উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট, জেতা কেন্দ্র হাতছাড়া স্পিকারের

মঙ্গলবার প্রথম প্রার্থিতালিকায় ৭১ জন প্রার্থীর নাম প্রকাশ করেছে বিজেপি। চেনা ঘাঁটি লখীসরায় থেকে লড়বেন উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার। অপর উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাটকেও তাঁর পারিবারিক ঘাঁটি তারাপুর ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ অক্টোবর ২০২৫ ১৫:৫৬
Share:

প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি। —ফাইল চিত্র।

বিহারের বিধানসভা নির্বাচনের জন্য প্রথম প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। প্রথম তালিকায় ৭১ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। বিহারের দুই উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট চৌধরি এবং বিজয়কুমার সিংহেরই নাম রয়েছে প্রথম প্রার্থিতালিকায়। তবে তালিকায় নাম নেই বিধানসভার স্পিকার নন্দকিশোর যাদবের।

Advertisement

বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট এ বারের নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন পারিবারিক ঘাঁটি তারাপুর থেকে। অতীতে সম্রাটের বাবা শকুনি চৌধরি এবং মা পার্বতী দেবী— উভয়েই তারাপুরের বিধায়ক ছিলেন। তবে বর্তমানে সম্রাট বিধায়ক পদে নেই। তিনি বিহারের বিধান পরিষদের সদস্য। যে আসনে তিনি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন, সেটিও গত দেড় দশক ধরে রয়েছে নীতীশ কুমারের জেডিইউয়ের হাতে। তারাপুরে ২০২১ সালের উপনির্বাচনেও জেডিইউ জয়ী হয়েছিল এখান থেকে। এ বারের আসন সমঝোতায় জোটসঙ্গী বিজেপিকে ওই আসনটি ছেড়ে দিয়েছে নীতীশের দল।

বিহারের অপর উপমুখ্যমন্ত্রী বিজয়কুমার এ বারও লড়ছেন তাঁর ঘাঁটি লখীসরায় থেকে। ২০১০ সাল থেকে পর পর তিন বার এখান থেকে জয়ী হয়েছেন তিনি। তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথম তালিকা থেকে বাদ পড়েছেন বিহারের বিধানসভার স্পিকার তথা বিজেপি বিধায়ক নন্দকিশোর। গত দেড় দশক ধরে পটনা সাহিব বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক তিনি। বিজেপি প্রথম তালিকায় পটনা সাহিবের প্রার্থী ঘোষণা করেছে ঠিকই, তবে বেছে নেওয়া হয়েছে অন্য কাউকে। নন্দকিশোরের পরিবর্তে ওই বিধানসভা কেন্দ্র থেকে বিজেপির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন রত্নেশ কুশওয়াহা।

Advertisement

এ ছাড়া বিহারে বিজেপির প্রথম সারির বেশ কয়েক জন নেতারও নাম রয়েছে প্রথম তালিকায়। কাটিহার থেকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী তারাকিশোর প্রসাদ। পাশাপাশি দানাপুর থেকে রামকৃপাল যাদব, গয়া থেকে প্রেম কুমার, সিওয়ান থেকে মঙ্গল পাণ্ডে এবং সহরসা থেকে অলোকরঞ্জন ঝা-কে প্রার্থী করা হয়েছে।

ঘটনাচক্রে, এই প্রার্থিতালিকা প্রকাশের কিছু ক্ষণ আগেই সমাজমাধ্যমে একটি পোস্ট করেন উপমুখ্যমন্ত্রী সম্রাট। সেখানে তিনি লেখেন, ‘‘এনডিএ দলগুলির মধ্যে আসন বণ্টনের বিষয়টি ভাল ভাবে আলোচনা করে সমাধান করা হয়েছে। কোন দল, কোন আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে, তা নিয়ে আলোচনাও চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে।’ ওই আলোচনাও ইতিবাচক বলে লিখেছেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি আরও লেখেন, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী এবং বিহারের মুখ্যমন্ত্রী তথা জেডিইউ নেতা নীতীশের নেতৃত্বে এনডিএ শিবিরের সব দল একজোট রয়েছে।

বিহারের ২৪৩টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজেপি এবং জেডিইউ— দুই দলই সমানে সমানে আসন ভাগাভাগি করেছে। দুই দলই ১০১টি বিধানসভা আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে। ২৯টি আসনে লড়াই করবে অধুনাপ্রয়াত রামবিলাস পাসোয়ানের পুত্র চিরাগ পাসোয়ানের দল এলজেপি (আর)। জিতনরাম মাঝীর হিন্দুস্থানি আওয়াম মোর্চা (হাম) এব‌ং উপেন্দ্র কুশওয়াহার রাষ্ট্রীয় লোক মোর্চা (আরএলএম) লড়াই করবে ছ’টি করে আসনে। গত রবিবার সন্ধ্যায় বিহারে ভোট পরিচালনার দায়িত্বে থাকা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ধর্মেন্দ্র প্রধান আসন সমঝোতা চূড়ান্ত হওয়ার কথা আনুষ্ঠানিক ভাবে জানিয়ে দেন।

এ বার বিহারে দু’দফায় ভোট হবে। প্রথম দফার নির্বাচন হবে ৬ নভেম্বর। ওই দফায় ১২১টি বিধানসভা কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হবে। ১০ অক্টোবর সেই সংক্রান্ত গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। তা যাচাইয়ের জন্য ১৮ তারিখ অবধি সময় পাওয়া যাবে। প্রার্থীরা নাম প্রত্যাহার করতে পারবেন ২০ অক্টোবর পর্যন্ত। দ্বিতীয় দফার ভোটগ্রহণ হবে ১১ নভেম্বর। দ্বিতীয় দফায় মোট ১২২টি আসনে ভোটগ্রহণ হবে। ওই দফার গেজেট বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হবে ১৩ অক্টোবর। ২০ অক্টোবর পর্যন্ত মনোনয়ন জমা করা যাবে। ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত প্রার্থীরা চাইলে নাম তুলে নিতে পারবেন। ভোটগণনা হবে ১৪ নভেম্বর।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement