সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুর। তাঁকে আলিনগর থেকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। —ফাইল চিত্র।
বিহার বিধানসভা নির্বাচনের দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করল বিজেপি। বুধবার প্রকাশিত ওই তালিকায় ১২টি বিধানসভা কেন্দ্রে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। দ্বিতীয় তালিকায় নাম রয়েছে সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী ঠাকুরেরও। মঙ্গলবার বিকেলেই পটনায় রাজ্য বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্বের উপস্থিতিতে পদ্মশিবিরে যোগ দেন তিনি।
বিহারের দ্বারভাঙা জেলার আলিনগর বিধানসভা কেন্দ্র থেকে তাঁকে প্রার্থী করেছে বিজেপি। এই আসন থেকে যে তাঁকে প্রার্থী করা হতে পারে, তা নিয়ে মঙ্গলবার থেকেই গুঞ্জন শুরু হয়েছিল। এ বার দ্বিতীয় প্রার্থিতালিকায় সেই গুঞ্জনেই সিলমোহর দিল বিজেপি। গত বিধানসভা ভোটে এই আসন থেকে জয়ী হয়েছিলেন বিকাশশীল ইনসান পার্টির নেতা মিস্রীলাল যাদব। পরে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়ে ২০২২ সালে বিজেপিতে যোগ দেন তিনি।
সেই থেকে আলিনগর আসনটিও বকলমে বিজেপির হাতে চলে আসে। তবে গত সপ্তাহেই আলিনগরের বিধায়ক মিস্রীলাল বিজেপি ত্যাগ করেন। পদ্মশিবির দলিতদের অপমান করছে বলে অভিযোগ তোলেন তিনি। দলত্যাগ করার সময়ে মিস্রীলাল দাবি করেন, আত্মমর্যাদার সঙ্গে টিকে থাকার জন্যই তিনি বিজেপি ছাড়ছেন। এ বার সেই আসন থেকেই বিজেপির টিকিটে প্রার্থী হচ্ছেন সঙ্গীতশিল্পী মৈথিলী। গত সপ্তাহে দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছিলেন মৈথিলী। সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিহারের দায়িত্বে থাকা বিজেপি নেতা বিনোদ তাওড়ে। তিনিই মৈথিলীর সঙ্গে সাক্ষাতের ছবি সমাজমাধ্যমে শেয়ার করেন।
এ ছাড়া বক্সার বিধানসভা কেন্দ্র থেকে প্রার্থী করা হয়েছে প্রাক্তন আইপিএস আনন্দ মিশ্রকে। সম্প্রতি প্রশান্ত কিশোরের জনসুরাজ পার্টি ছেড়ে বিজেপিতে যোগ দেন আনন্দ। এ ছাড়া মুজফ্ফরপুর থেকে প্রার্থী হচ্ছেন রঞ্জন কুমার। বিদায়ী বিধায়ক সুরেশ শর্মার বদলে এ বার মুজফ্ফরপুরের জন্য তাঁকে বেছে নিয়েছে বিজেপি।
এই নিয়ে বিহারের ৮৩টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল বিজেপি। মঙ্গলবারই তারা ৭১টি আসনের প্রার্থিতালিকা প্রকাশ করেছিল। এ বার আরও ১২টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা করল। এ বারের নির্বাচনে ১০১টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বিজেপি।