রাহুলের বিরুদ্ধে তোপ বিজেপির, চতুর্থ দিনেও অচল সংসদ

প্রথম তিন দিন কাজ হয়নি। চতুর্থ দিনেও হল না। বিরোধীদের তুমুল হৈ-হট্টগোলে শুক্রবারও পণ্ড হল সংসদের কাজকর্ম। লোকসভা মুলতুবি হয়ে গেল সোমবার পর্যন্ত।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৫ ১৫:০৫
Share:

অধিবেশন চালানোর ব্যর্থ প্রচেষ্টা স্পিকারের। ছবি: পিটিআই।

প্রথম তিন দিন কাজ হয়নি। চতুর্থ দিনেও হল না। বিরোধীদের তুমুল হৈ-হট্টগোলে শুক্রবারও পণ্ড হল সংসদের কাজকর্ম। লোকসভা মুলতুবি হয়ে গেল সোমবার পর্যন্ত। আর দফায় দফায় স্থগিত হল রাজ্যসভার অধিবেশন।

Advertisement

বিরোধীদের আক্রমণের পাল্টা যে জোরালো প্রতি আক্রমণ দিয়ে দেওয়া হবে, সে কথা আগেই জানিয়েছিল বিজেপি। এ দিন সেই নীতি মেনে এক দিকে যেমন গাঁধী মুর্তির সামনে বিক্ষোভ দেখালেন বিজেপি সাংসদরা, অন্য দিকে রাহুল গাঁধীর বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার কথা বলে গাঁধী পরিবারকেও চাপে রাখার কৌশল বজায় রাখল বিজেপি।

বিদেশমন্ত্রী সুষমা স্বরাজকে আক্রমণ করে বৃহস্পতিবার রাহুল গাঁধী বলেছিলেন, “ললিত মোদী এক জন ফেরার অভিযুক্ত। সুষমা তাঁকে সাহায্য করে ফৌজদারি অপরাধ করেছেন। তাঁর জেলে যাওয়া উচিত।” কংগ্রেস সহ-সভাপতির এই মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এ দিন সরব হয় বিজেপি। রাহুলকে ক্ষমা চাইতে হবে বলে দাবি করে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নীতিন গডকড়ি বলেন, “বিদেশমন্ত্রীকে অপরাধী বলে রাহুল শুধুমাত্র তাঁর পদকেই নয়, অপমান করেছেন দেশ এবং সংসদকেও। অবিলম্বে তিনি ক্ষমা না চাইলে তাঁর বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ করা হবে।” সুষমার বিরুদ্ধে রাহুলের অভিযোগ খণ্ডন করে তাঁর দাবি, “বিদেশমন্ত্রী কোনও অপরাধ করেননি। সব অভিযোগই ভিত্তিহীন।”

Advertisement

বিরোধীদের আক্রমণ সামলাতে এ দিন সংসদের বাইরে মহাত্মা গাঁধী মূর্তির সামনে ধরনায় বসেন বিজেপি সাংসদরা। হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীর পদত্যাগের দাবিও তোলেন তাঁরা। বিজেপির সঙ্গে যোগ দেন অকালি দল, পিডিপি এবং তেলুগু দেশম পার্টির সাংসদরাও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন