মানুষের সঙ্গে কথা বলতে বাধা কেন, সরব মানিক

প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য,  ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। যে ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা এ রাজ্যের রাজ্যের সংস্কৃতি নয়|’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

আগরতলা শেষ আপডেট: ১৪ জুন ২০১৮ ০৩:৪১
Share:

মানিক সরকার

রাজ্যের বিরোধী দলনেতা মানিক সরকার ও আরও দুই সিপিএম বিধায়ক তপন চক্রবর্তী ও প্রভাত চৌধুরী ধলাই ও উত্তর ত্রিপুরা জেলার বিভিন্ন প্রত্যন্ত এলাকায় গিয়ে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে চান বলে লিখিত ভাবে জানিয়েছিলেন প্রশাসন ও পুলিশকে। কিন্তু তাঁদের পথ আটকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে সরব হলেন মানিকবাবুরা। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য, ‘‘নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের সঙ্গে কথা বলতে গিয়েছিলাম। যে ভাবে বাধা দেওয়া হয়েছে, তা এ রাজ্যের রাজ্যের সংস্কৃতি নয়|’’

Advertisement

গন্ডাছড়া মহকুমায় সোমবার ডাকবাংলোয় ঢোকার সময় বিজেপির সমর্থকেরা বিরোধী নেতাদের গাড়ি ঘিরে বিক্ষোভ দেখান। উপস্থিত পুলিশ আধিকারিকেরা লাঠি চালিয়ে বিক্ষোভকারীদের সরানোর চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু মানিকবাবুই পুলিশকে বলপ্রয়োগ না করার অনুরোধ জানান। পরে মানিকবাবু, তপনবাবু, প্রভাতবাবুরা সিপিএমের দফতরে চলে যান। মানিকবাবু আজ অভিযোগ করেন, গত কাল গন্ডাছড়া থেকে হাতিমাথা যাবার পথে রইস্যাবাড়িতে ফের রাস্তা অবরোধ করেন বিজেপি এবং আইপিএফটি-র কর্মী-সমর্থকরা। সেখানেও পুলিশকে বলপ্রয়োগ করতে মানা করা হয়। জগবন্ধুপাড়ায় গিয়ে জনজাতি মানুষের সঙ্গে কাজ ও খাদ্যের অভাব নিয়ে কথা বলেন বিরোধী দলনেতা। গঙ্গানগরে গিয়ে তাঁরা অভিযোগ পান, ব্লক অফিস দখল করে দলের কার্যালয়ের মতো কাজ চালাচ্ছে আইপিএফটি। ধলাই জেলার থালছড়ায় যাওয়ার আগে খবর আসে রাস্তা অবরোধ করা হয়েছে। মহকুমাশাসক এবং জেলাশাসকের কাছে গিয়ে ১০০ দিনের কাজ ও অন্যান্য বিষয়ে বৈঠক করেছেন | বিজেপি কটাক্ষ করেছিল, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে মানিকবাবু আগে কখনও গন্ডাছড়া যাননি। তাঁর জবাব, ‘‘গত বিশ বছরে ১৬ বার গিয়েছি!’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন